বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ লাগোয়া ঘোড়া দীঘি পাড়ে লাগানো শতাধিক নারকেল, সজনে ও পেঁপে গাছ উপড়ে ও কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতের কোনো এক সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা দীঘিটির পাড়ে লাগানো ওই গাছগুলো বিনষ্ট করে।
দিঘির সংরক্ষিত পুরাকীর্তি বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ক্যাম্পাসের অংশ। ৩ বছর আগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এর পাড়ে ৫০টি নারকেল ও সম্প্রতি ৬১টি পেঁপে ও বেশ কিছু সজনে গাছ রোপণ করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বুধবার বিকেলে বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ লাগোয়া ঘোড়া দীঘির আয়তন ৪০ একর। ১৫ শতকে মনোরম এই দীঘি খনন করেছিলেন হযরত খানজাহান (রহ.)। দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক নিয়মিত মসজিদ-দীঘিসহ খানজাহান (রহ.) এর নির্মিত অনন্য সব পুরাকীর্তি দেখতে আসেন বাগেরহাটে।
এখানে দীঘি ও এর পাড়ে বসে মুগ্ধ হন তারা। মূলত সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এই দীঘির চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছিল। নিয়মিত পরিচর্যায় নারকেল গাছগুলো বড় হতে শুরু করে, পেঁপে গাছে ফল ধরে। হঠাৎ গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে দীঘির দক্ষিণ পাড়ের নারকেল ও পেঁপে গাছগুলোকে কে বা কারা বিনষ্ট করেছে। এই ঘটনার আমাদের বিস্মিত করেছে।
এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কারা কেন এমন শত্রুতা দেখালো বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান পুলিশ ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তারা ক্যাম্পাসে অবাধে যাতায়াত করতে চায়। তা না পারার জেরে রাতের আঁধারে দেয়াল টোপকে ভেতরে ঢুকে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সূত্র : অনলাইন ডেস্ক আরটিভি
Leave a Reply