কতো নিষ্ঠুর হৃদয়ের অধিকারী হলে,
শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে
আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত করে,
সবাই মিলে উল্লাস উৎফুল্লতায়
নিয়ে যেতে পারে একজন তোফাজ্জলকে
মৃত্যুর হিম শীতল গহীনে।
বেশি কিছু চাওয়ার ছিলো না তোফাজ্জলের,
শুধু এক প্লেট অন্ন পেলে বেজায় খুশিতে
শোকরানা আদায় করতো পরম করুণাময়ের।
এক প্লেট অন্ন দিয়ে
অমূল্য জীবন প্রদীপ নিলি কেড়ে?
কোন দুঃখিনী মায়ের সন্তান তোরা?
হে হায়েনার দল! তোদের জন্মটাই বৃথা।
এমন মৃত্যু সহ্য করে কে কবে!
হে অপ্রকৃতস্হ যুবক তোফাজ্জল,
তোমার লাঞ্ছনাদায়ক মৃত্যুর জন্য
জব্দ তাদের একদিন হতেই হবে।
তারা তো তাদের মেধা মনন
কবেই খেয়েছে পুড়ে,
তাইতো তোমার নির্মম মৃত্যুতে,
তাদের হৃদয়ে ওঠেনি কাঁপন
অকস্মাৎ কোন ঝড়ে৷!
অসুর সবাই–
মানিয়েছে হার নেকড়ের চেয়েও অধিক পশুত্বকে,
কেড়ে নিতে হবে তাই, তাদের মিথ্যে ছাত্রত্বকে।
ছাত্র নং অধ্যয়নং তপঃ
কি অধ্যয়ন করালে তুমি দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ
কালিমায় গেলো ছেয়ে
তোমার গৌরবদীপ্ত সে নাম।
যাকে প্রতিষ্ঠা করতে
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ সাহেবকে
ঝরাতে হয়েছে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা আর ঘাম।
পা রাখিতে না পেরে তোমার ক্যাম্পাসে
কতোজন ভাসে অঝরে আঁখি জলে।
কেউ বা আবার যমদুত যায় বনে,
দাঁড়ায়ে তোমার আঙ্গিনা প্রাঙ্গনে।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত তুমি,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তোমার হারানো গৌরব
ফিরিয়ে আনতে হবে স্বমহিমায়।
তাই ছাঁটাই করতেই হবে জনে জনে
মূর্খ জনম কাটাই যে জন শিক্ষিত হয়ে !
মূর্খ নয় তো আসলে তারা,
পদলেহনকারী মেরুদণ্ডহীন যারা,
শিক্ষক নামের কলংক তারা।
মানুষ গড়তে হলে মানুষেরই প্রয়োজন,
সে মানুষ হবে সাহসী ও চরিত্রবান।
অমানুষ কি পারে গড়িতে কখনো,
মানুষ নীতিবান?
মোসাহেব তোরা, ক্ষমতার লোভে
নতশির করিস ঐ পুজ্য মানুষের পায়ে!
সৃষ্টির কাছে নতশির হয় কেমন করে?
বিধাতা বানালো যারে-
হায়রে ভীরু কাপুরুষ শিক্ষক তোমরা,
ধিক জানাই তোমাদের
কলুষিত জ্ঞান আর মেধাকে আমরা।
মনুষ্যত্বহীন শিক্ষায় তবে
আরো অনেক তোফাজ্জলের
নিরবেই মৃত্যু হবে।
কেউবা মরিবে প্রাণে
কেউবা ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থেকে।
ধরার বুকে শিক্ষক তুমি, শ্রেষ্ঠ সবাই জানে
তৈলে নয়, দেখিয়ে দাও তা কর্মে ও নিজ গুনে।
জাগ্রত বিবেকের তাড়নায়
আত্মগ্লানির অনলে পুড়ে
ঘুচাক তোমার কলংকিত অধ্যায়।
লোভের অনলে লালায়িত না হয়ে
নতশির কর ঐ বিধাতার দ্বারে।
প্রতিবাদী হয়ে এবার দাঁড়াও
কোটি কন্ঠে আওয়াজ উঠাও
ক্ষমতালোভী মোসাহেবদের এখনই তাড়াও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র আঙিনা হতে।
অতপরঃ
ছাত্র -শিক্ষক তোমাদের সূর্যিত দিন আসবেই।
Leave a Reply