মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্মকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই রক্তকরবী, অগ্নিবীণা, সনেট ও অমিত্রাক্ষর নামে চারটি বুথের নামকরণ করা হয়। শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি সংবর্ধনা যশোরের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্মারকসহ উপহার সামগ্রী প্রদানের জন্যে এসব বুথ স্থাপন করা হয়। চারটি বুথের নাম বলতে পারবে কে রক্তকরবী নাটক নাকি কাব্য এবং লেখক কে? সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে?এমন কুইজের সঠিক উত্তর দাতা চারজনকে পুরস্কার হিসেবে প্রথম পত্রিকা তুলে দেওয়া হয়।
মঞ্চ থেকে প্রশ্ন করার সময়ে অনলাইনে খুজে অনেকে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করে। কুইজ পরিচালনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো.একরামুল কবির বলেন,’ আজকের এমন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসাটা যেন শেষ না হয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তাহলে এমন বড় আসরে তোমরা বার বার আসার সুযোগ পাবে’।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ‘তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষৎ। তাদের যোগ্য নেতৃত্বেই যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান মষ্ককো বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তরুণদের সঙ্গে প্রথম আলো থাকবে’।তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক ও সন্ত্রাসকে না এবং সত্য, ন্যায় ও সুন্দরকে হ্যা বলার শপথ করান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনামূলক বক্তব্য রাখেন যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আখলাক ইসলাম তামিম তার বক্তব্যে বলেন,’ জিপিএ-৫ আমাদের আবার পাইতে হবে। তাহলে আবার আমরা এখানে আসতে পারবো। ক্রেস্ট পাবো। মনশক্তি আর জ্ঞানশক্তি একত্র হলে আমাদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না’।
প্রথম আলো কারো ধার ধারে না। তুমি দোষ করেছো আমি ছাপাবো। তুমি গুণ করছো তাও আমি ছাপাবো। এই প্রথম আলোকে আমি ভালোবাসি বলেও আখলাক ইসলাম জানান।
এরপর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন লালন সংগীত, আধুনিক, দেশত্ববোধক গান ও কবিতা পরিবেশন করেন। সবশেষে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ আবিদা কামাল সংগীত পরিবেশন করে শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে রাখেন।অনুষ্ঠানে সমাপনী কথা বলেন যশোর বন্ধুসভা সভাপতি মুরাদ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হামিদা হিমু।
‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি সংবর্ধনা।
আয়োজনে আরো পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে বিকাশ। সহযোগিতা করেছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বহুব্রীহি, সানকুইক, কনকা-গ্রি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
Leave a Reply