জাতি গঠনে শিক্ষকের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁদের সম্মাননা জানানোর মাধ্যমে সকল শিক্ষককে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সংক্ষিপ্ত বক্তব্যসহ নানা আয়োজনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১১টায় যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে সমাপনী বক্তব্য দেন যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
অধ্যাপক ড.মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করা উচিত। আশা করি, এ দিবসটির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সামাজিকভাবে সকলেই শিক্ষকের মর্যাদা সম্পর্কে আরও সচেষ্ট হবেন। আগামীতে স্বতস্ফূর্তভাবে ও বৃহৎ পরিসরে এ দিবসটি পালন করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শোভাযাত্রায় যবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, প্রক্টর মো. আমজাদ হোসেন, ড.ইঞ্জি, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, আবাসিক হলের প্রভোস্টবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকবৃন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব শিক্ষক দিবস ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবস পালিত হয়ে থাকে। এই দিবস পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ভ্যালুয়িং টিচার ভয়েসেস: টুয়ার্ডস এ নিউ সোস্যাল কন্ট্রাক্ট ফর এডুকেশন’।
Leave a Reply