বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি দৈনিক সংবাদ পত্রের খবরে জানা গেছে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কাছে জিম্মি বিআরটিএ , বাংলাদেশের নাগরিকের তথ্য ভারতের হাতে।বাংলাদেশের নাগরিকের তথ্য ভারতের হাতে দেয়া মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের চুক্তি বাতিল দাবি করে বিবৃতিতে বলেছে , নিজ দেশ ভারতে আধার কার্ড প্রকল্পে আজীবন নিষিদ্ধ। আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছে ৯ জন পরিচালকের বিরুদ্ধে। ঘুষ-অনিয়মের মাধ্যমে কাজ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে শ্রীলংকাতেও।
এমনকি টাকার বিনিময়ে নাগরিকের তথ্য বিক্রির অভিযোগও আছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটিজ প্রিন্টার্সের বিরুদ্ধে। বিতর্কিত এই কোম্পানিকেই ১২০ কোটি টাকার ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাজ দিয়েছে বিআরটিএ। বাংলাদেশের বিগত হাসিনা সরকারের আমলে বিতর্কিত এই কোম্পানিকে কাজ দেয়ার জন্য চারবার সংশোধন করা হয়েছে দরপত্রের শর্ত।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ বহাসিনা সরকারের পতনের পর বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ রেখেছিল ভারতীয় এই কোম্পানি।বর্তমান সরকার জনগণের স্বার্থে জনকল্যাণ কাজ করছে কিন্তু জনগণের স্পর্শকাতর তথ্য নিয়ে এখনও উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর পিপলস রাইটস বাপসনিউজকে বলেছে , মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স-এমএসপি’র কাজের পরিধি বেশ ব্যাপক। অভিযোগ তার চেয়েও বেশি।
ভারতের আধার কার্ড প্রকল্পে কাজ পেয়েছিল এমএসপি। কিন্তু নাগরিকের তথ্য বিক্রি করার দায়ে খোদ ভারত সরকার এই কোম্পানিকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বের করে দেয়া হয়েছে তেলেঙ্গার সামাজিক সুরক্ষা সেবা মিসেভা প্রকল্প থেকেও। ভবিষ্যতে কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে পারবে না কোম্পানিটি। বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি দৈনিক সংবাদ পত্রের খবরে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বিতর্কিত এই কোম্পানি ভারতের বাইরেও দুর্নাম কুড়িয়েছে।
শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যমও কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। কেনিয়াতে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে। ৯ পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছে। অথচ বিআরটিএ-এর দরপত্রের শর্ত ছিল ৫ বছরের মধ্যে দরদাতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকা চলবে না। কিন্তু দরপত্র যাচাই করার যাদের দায়িত্ব ছিল তারা সেগুলো পাশ কাটাতে বাধ্য হয়েছে হাসিনা সরকারের সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে।
গ্লোবাল এলায়েন্স ফর পিপলস রাইটস আরো বলেছে বলেছে , জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় কোম্পানি মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে পাঁচ বছরে ৪০ লক্ষ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের ১২০ কোটি টাকার চুক্তি সই করে বিআরটিএ।
এ চুক্তিতে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডের বাংলাদেশি এজেন্ট লজিক ফোরাম। তবে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবারই তারা সময়মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড সরবরাহে বিফল হয়ে আসছে। এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য পাচার নিয়ে।
Leave a Reply