যশোর শহরের বকচর হুশতলার মোড় থেকে স্কুল শিক্ষার্থী রুমাইয়া খাতুন (১৫) অপহরনের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অপহরনের একদিন পর পুলিশ অপহৃতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শনিবার ১২ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি গ্রহন করা হয়েছে। অপহরনের ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীর ভাই যশোর শহরের বকচর হুশতলা, কল্পতরু প্লট বাড়ির নং ৮৪৫ এর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জালেক মিয়া মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়, শহরের বকচর (করিম পাম্পের পাশে কবর স্থান কলোনী পাড়া) এলাকর আতিয়ার রহমানের ছেলে নাফিজ রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে।
মামলায় উল্লেখ করা, তার ছোট বোন রুমাইয়া খাতুন যশোর নড়াইল রোডের ঝুমঝুমপুরস্হ যশোর টেকনিক্যাল সরকারী স্কুল এন্ড কলেজে ৯ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। সে বাড়ি থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার করে। নাফিজ রহমান ও তার সহহেযাগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহায়তায় বাদির বোনকে তার স্কুলে আসা যাওয়ার সময় পথের মধ্যে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফুসলাতো।
বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতো। স্কুল শিক্ষার্থী নাফিজের খারাপ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করার হুমকীসহ ক্ষতি করার হুমকী দেয়। জালেক, নাফিজকে তার বোনের পিছু নিতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বোনকে ক্ষতি করার লক্ষে ষড়যন্ত্রে লিপ্তহয়। এক পর্যায় বাদির বোন গত ৭ অক্টোবর স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
সেদিন বাড়িতে ফিরে না আসায় ঘটনার পরের দিন কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়। সাধারণ ডাইরী করার পর স্কুল শিক্ষার্থীকে খোঁজাখুজির এক পর্যায় জানতে পারেন স্কুলে যাওয়ার সময় সকাল সাড়ে ৭ টায়
বকচর হুশতলার মোড় যশোর খুলনা মহাসড়কে পৌছালে নাফিজ রহমানসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদির বোনকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অপহরন করে একটি অজ্ঞাতনামা প্রাইভেট কারে উঠিয়ে চলে যায়।
ঘটনার পর খোজাখুজির এক পর্যায় নাফিজ রহমানের মা ও তার পরিবারের লোকজনদের চাপ সৃষ্টি করলে বাদি তার বোনকে ৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯ টার সময় ওই বাড়ি থেকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply