কিশোরগ্যাং বর্তমান সমাজের জন্য অভিশাপ, ডাটাবেজ তৈরি করে কিশোরগ্যাং অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব

হুমায়ন আকাশ , নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
সম্পাদকীয় :

সৎসঙ্গ স্বর্গবাস আর অসৎ সঙ্গ সর্বনাশ ,আমাদের স্বাধীন ভূখণ্ড বাংলাদেশে বর্তমান কিশোরগ্যাং অপরাধ বেড়েই চলছে, কিশোর অপরাধ বা কিশোরগ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কার্যক্রম গত কয়েক বছর ধরে সমাজে বিস্তার লাভ করে আসছে। আর বর্তমান কিশোর গ্যাং আমাদের সমাজের জন্য এখনো অভিশাপ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বড় ভাইদের ছত্রছায়ায় কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠার কথা সকলেরই জানা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিশোর অপরাধ এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

দিনে রাতে সমানভাবে চলছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এদের অপরাধী কার্যক্রম। কালবিলম্ব না করে এখনই কিশোর অপরাধীদের থামাতে হবে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে কিশোর অপরাধ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রবাদ বাক্য রয়েছে যে, বাংলাদেশে অপরাধের নানান শাখা শাখা রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ নেই অপরাধের, তাই থেমে নেই অপরাধ চক্রের কলাকৌশলও। বিশেষ করে কিশোর অপরাধ ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

প্রধানত ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে সারা দেশে বিস্তার করেছে কিশোর অপরাধ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভ থেকে সরে এসে নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে কিশোরেরা। অভিভাবকেরাও। ভভাবকেরাও যেন উদাসীন! সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছেড়এসবের ন্যূনতম খোঁজ নিচ্ছেন না তারা! কী অদ্ভুত কথা! মনে রাখতে হবে, একজন অপরাধী কিশোরের অপরাধের দায় ভোগ করতে হচ্ছে পুরো পরিবারকে।

আবার কিশোর অপরাধ আইন ও ধারার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বড় অন্যায় করেও পার পেয়ে যাচ্ছে অনেকে। ছাড়া পেয়ে আবার যুক্ত হচ্ছে নতুন অপরাধে। এভাবে চলতে থাকলে কিশোর অপরাধের শেষ হবে কীভাবে? দেশে তো মহামারির রূপ নেবে কিশোর অপরাধ! সাধারণ মানুষের কাছে এখন আতঙ্কের নাম কিশোর অপরাধড় এতে কোনো সন্দেহ নেই। শহরে, গ্রামে কিশোরেরা শিক্ষক, বয়স্ক কাউকেই তোয়াক্কা করে না। মাদক দ্রব্যের সহজপ্রাপ্যতা কিশোরদের অপরাধ জগতের শুরুটা করে দিচ্ছে।

স্থানীয় রাজনীতি, পদ-পদবির জন্য কিশোরেরা রাজনৈতিক নেতাদের অনুসারী হয়ে থাকে। এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্বে কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরাং, এসব প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। কিশোর অপরাধ দমনে পরিবার, সমাজ, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে। প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনে দিনে কিশোর অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। ভুলে গেলে চলবে না, এখনই যদি কিশোর অপরাধ থামানো না যায়, সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুরা ভবিষ্যতে কী শিখবে? জাতির প্রত্যাশা অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মোহাম্মদ ইউনুস কিশোর অপরাধ দমনে যুগ উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

পরিশেষে আমরা বলবো মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা , ও আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে সরকারের প্রতি আমাদের বিশেষ আহ্বান থাকবে কিশোর অপরাধীদের শিকড় থেকে নির্মূল করা, সুশৃংখল একটি দেশ উপহার পেতে দুর্নীতি সন্ত্রাসীর পাশাপাশি কিশোর গ্যাং অপরাধ ডাটাবেজ তৈরি করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

পরিশেষে পরিবারের প্রতি আমাদের আবারো আহ্বান আপনার সন্তানের প্রতিদিন খোঁজখবর নিন,কোথায় আছে কার সাথে আছে সে কোথায় কি করছে? সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখুন।