পরিবারের লোক থানায় যোগাযোগ করলে আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে পুলিশ মরাদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পিতির পরিবারের লোক জন দাবী করছে পরিকল্পিত ভাবে মেয়েকে মেরে পালিয়েছে তার স্বামী সৌমিত্র ধর ও তার পিতাঃ অমর ধর। এমনকী তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্তা ও করেনী তার পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায় বছর ২ আগে পরিবারের অমতে সৌমিত্র ধরের হাত ধরে পিতি মন্ডল তাদের বাড়ি চলে যায়। সৌমিত্রের পরিবার নিজেদের দ্বায়িত্বে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে। বিয়ের পর থেকেই সৌমিত্রের পরিবার তাকে মেনে নিতে পারতো না, প্রায় তাদের মধ্য ঝগড়া বিবাদ লেগে খাকতো। নিহতের শাশুড়ি স্বপ্না মন্ডল বলেন তাদের বৌমা নিজেই গলায় শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করছে। নিহতের দাদা হরিনাথ বিশ্বাস বলেন স্বামী ও তার পরিবার মিলে তাদের বোনকে মারছে। মেরে বাড়ি থেকে সবাই পালিয়েছে। এখন মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে গলায় ফাঁশ দেওয়ার কথা বলে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোট পেলে প্রকৃত কারণ জানা জাবে মৃত্যুর। মৃত পিতি মন্ডল বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগে যশোর মহিলা কলেজে পড়াশুনা করতেন। উল্লেখ পিতির স্বাসী বাংলাদেশ সেনাবাহীনিতে কর্মরত। তিনি পুজার ছুটিতে বর্তমানে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
Leave a Reply