দিনাজপুর হাকিমপুরের নারী উদ্যোক্তা আরমিন আক্তার পলি সম্প্রতি তার ছাদবাগানের মাধ্যমে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন। তার বাগানে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ফল, ফুল, সবজি এবং ঔষধি গাছের সমাহার রয়েছে।
পলি তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারেও ফল ও সবজি বিক্রি করছেন, যা দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
সাত বছর আগে কিছু ফুল ও ফলের গাছ লাগানোর মাধ্যমে ছাদবাগানের যাত্রা শুরু করেছিলেন পলি। বর্তমানে তার বাগানে মাল্টা, কমলা, লিচু, মিষ্টি আমড়া, তেঁতুল, ডালিম, পেয়ারা, ড্রাগন, কামরাঙা,
পেঁপে, জলপাই, কাঠবাদাম, আঙুর, জাম্বুরা প্রভৃতি ফলের গাছের পাশাপাশি পুঁইশাক, কলমিশাক, শিম, টমেটো এবং বেগুনের মতো সবজির গাছও রয়েছে।
বিশেষত্ব হচ্ছে, তার সব গাছ টবে লাগানো এবং টবগুলোও তিনি নিজ হাতে তৈরি করেন, যা সিমেন্ট, বালু ও ইটের গুঁড়ায় তৈরি করা হয়। এই উদ্যোগ তাকে অর্থ উপার্জন করতেও সহায়তা করছে।
হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তার সাধারণ সম্পাদক রোমেনা আক্তার মনি বলেন, “নারীরা পিছিয়ে নেই; আমরা নিজেদের ক্ষমতায়ন করছি। পলি আপার ছাদবাগান দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারি।”
নারী উদ্যোক্তা হামিদা আক্তার বলেন, “আমরা পলি আপার বাগান ঘুরে দেখেছি এবং সেখানকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমিও এমন একটি বাগান তৈরি করতে চাই।”
স্থানীয় ফরিদা বেগম বলেন, “পলি আপার বাগান দেখলে সত্যিই মুগ্ধতা কাজ করে। আমি মাঝে মাঝে তার ছাদবাগানে যাই এবং সময় কাটাই। আমিও পলি আপার মতো একটি বাগান তৈরি করতে শুরু করেছি।”
ছাদবাগানের মালিক আরমিন আক্তার পলি জানান, “ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগাতে এবং পরিচর্যা করতে ভালোবাসি। বাবা থেকে শেখা দক্ষতা দিয়ে আমি এই বাগান শুরু করেছি।
বর্তমানে হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তার সদস্য হিসেবে আমি ফল, ফুল ও সবজি চাষের পাশাপাশি টব তৈরি করেও সফলতা অর্জন করেছি।”
পলি আপার ছাদবাগান নারীদের উদ্যোক্তামূলক কর্মকাণ্ডের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যা এলাকার অন্যান্য নারীদেরও অনুপ্রাণিত করছে।
Leave a Reply