যশোরে মেয়েদের জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে ‘হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’ (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের কালেক্টরেট স্কুলে টিকাদান ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমুনাইজেশনের (গ্যাভি) সহায়তায় জেলায় ১৮দিন ব্যাপি এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
জেলায় এই কর্মসূচিতে ৯ থেকে ১৪বছর বয়সী কিশোরী ১ লাখ ২৩ হাজার ১৬০ জন কিশোরীকে টার্গে হিসাবে নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় ৫২হাজার ৫৩০জন কিশোরী অনলাইনে আবেদন করেছেন।
এ উপলক্ষে বুধবার জেলা সিভিলা সার্জন কার্যালয়ে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভার আয়োজন করা হয়।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তৌহিদ পারভেজের সঞ্চালনায় ও সিভির সার্জনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান। পরে ভিডিও পজেক্টরের মাধ্যমে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা সম্পকে ডাক্তার রেহেনেওয়া প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এ সময় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, দৈনিক লোক সমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সিভিল ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এক মাস ব্যাপি জেলার সকল উপজেলায় কিশোরীদের হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা প্রদান করা হবে। তবে কর্মদিবস হিসাবে ১৮দিন কার্যক্রম চলবে। প্রতিটি ভায়ালে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ থাকে, যা দুজন কিশোরীকে দেওয়া হবে।
এটি এক ডোজের টিকা, যা কিশোরীদের মাংসপেশিতে দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে কিশোরীদের জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই এইচপিডি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। তাই ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রী এবং স্কুলে যায় না এমন ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে এ টিকা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply