দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। যার অন্যতম কারণ হলো ব্যাটিং ব্যর্থতা। অথচ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু স্পিন উইকেট তৈরি করেও প্রোটিয়াদের আটকাতে পারেনি তারা। মাচ শেষে মিরপুরের উইকেট এবং দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ৯৭ রান করে আউট হওয়া এই টাইগার অলরাউন্ডার।মিরপুর টেস্টে শান্ত-লিটনরা ব্যর্থ হলে ব্যাট হতে একাই প্রতিরোধ গড়েছিলেন মিরাজ। সপ্তম উইকেটে ব্যাট করতে নেমে মিরাজ পারলেও শান্ত-লিটনরা কেন সফল হতে পারছেন না?
এমন প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন, দেখেন সঠিক নিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুবই জরুরী। আমাদের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা যদি রান করতো; তাহলে আমাদের জন্য আরও ভালো হতো। পাকিস্তান সিরিজে আমরা যখন প্রথম টেস্ট খেলেছিলাম, সেখানে টপ অর্ডারের ব্যাটাররা ভালো করেছিলেন। আমরাও ভালো একটা রান করতে পেরেছিলাম।
‘কিন্তু যখন টপ অর্ডার ফেল করে তখন পরের ব্যাটারদের নতুন বলে ব্যাট করতে হয়। যেটা অনেক কঠিন আমাদের জন্য। তবে আমরা আলোচনা করছি কিভাবে আরও ভালো করা যায়।’
মিরপুরের উইকেটে টাইগারদের টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও দুর্দান্ত করেছেন মিরাজ ও প্রোটিয়ারা। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চলে আসে উইকেট চিনতে কি ভুল করেছে স্বাগতিকরা।
এ বিষয়ে টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, দেখেন সবকিছু আমাদের পক্ষেই ছিল। টসে জিতে আগে ব্যাট করেছিলাম। আমরা জানি মিরপুরের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কতটা কঠিন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত আমরা সফল হতে পারিনি। আমরা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রান করেছি।
‘এটা যদি আমরা প্রথম ইনিংসে করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু আমরা প্রথম ইনিংসেই ব্যাক ফুটে চলে গেছি। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ইনিংসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
পাকিস্তান সিরিজে ম্যাচ জিততেও ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভারত সফরেও প্রতিদ্বন্দ্বীতায় করতে পারেননি টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও একই অবস্থা। তাই পরিকল্পনায় কোনো ঘাটতি আছে কিনা এই প্রশ্ন ছুটে যায় মিরাজের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, দেখেন আমরা যদি ভালো খেলতে পারতাম তাহলে এতো প্রশ্ন আসত না। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি এই দায়টা আমাদের। আমাদের ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। পাকিস্তান সিরিজে আমাদের কিছু ব্যর্থতা থাকলেও ম্যাচ জিতেছি। কারণ, দলের তিন জন রান করেছিল।
‘আপনি জানেন প্রতি ম্যাচে সবাই রান করবে না। কিন্তু, অন্তত ৩-৪জনকে রান করতে হবে ম্যাচ জিততে হলে। আমরা আমাদের মধ্যে আলোচনা করছি কিভাবে সমানে ভালো করা যায়। আশা করছি সামনে টেস্ট ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো করব।উল্লেখ্য, আগামী ২৯ অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে।
সূত্র: অনলাইন ডেস্ক আরটিভি
Leave a Reply