ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর পেট্রাপোল বন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বন্ধ রেখেছিল পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
এর ফলে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ৭ ঘন্টা দুই পারের চেকপোস্টে আটকে ছিল শত শত পাসপোর্টযাত্রী। এদের মধ্যে জরুরি চিকিৎসাসেবী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শনিবার ও রবিবার দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। দু‘দিন বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখায় সহস্রাধীক ট্রাক পণ্য নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে উভয় বন্দরে। এসব পণ্যের মধ্যে মাছ, সবজি, শিশু খাদ্য, শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে রোববার সকাল ৯টা থেকে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রাখে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। বিকাল ৪টার পর থেকে যাত্রী চলাচল শুরু হয়েছে।
এদিকে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় দু‘দেশের চেকপোস্ট এলাকায় শত শত পাসপোর্ট যাত্রী আটকা পড়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। দূরদুরান্ত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীরা এসেছেন ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। অথচ চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে এসে শুনছেন এখন ভারতে প্রবেশ করা যাবেনা। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সে দেশের পেট্রাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন। সে কারণে সব কিছু বন্ধ থাকবে।
ভারতগামী যাত্রী অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন,চিকিৎসার জন্য পরিবার নিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য এসেছি। বেনাপোল চেকপোস্টে আসার পর শুনছি দুইটার আগে ভারতে যাওয়া যাবেনা। এখন শুনছি ৪ টার পর যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে।
অপর এক যাত্রী কমলা রানী বলেন,আমি ঢাকা থেকে আসছি ভারত যাব। এসেই পড়েছি বড় বিপদে। ভারতের পেট্রাপোল বর্ডারে কি কি নাকি উদ্বোধন হবে। সে জন্য আমরা যেতে পারছিনা। দুপুরের দিকে যাওয়া যাবে বলে ইমিগ্রেশনের স্যারেরা বলছেন।
পাসপোর্টধারী অনিতা ঘোষ জানান, ডাক্তার দেখাতে চেন্নায় যাব। বিমানের টিকিট কাটা ছিল। হঠাৎ ইমিগ্রেশন বন্ধ করে দেওয়ায় তারা আর বিমান ধরতে পারবেন না। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও চিকিৎসার ক্ষতি হয়েছে। বন্ধের বিষয়টি আগে জানালে এ ক্ষতি হতো না।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ আহসান জানান,পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানিয়েছেন ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধনের জন্য সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন। তার নিরাপত্তার জন্য আমদানি-রপ্তানিসহ যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। দুপুর দুইটার পর থেকে যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তুু ওপারে যাত্রী যাতায়াত ৪ টার পর থেকে শুরু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দুদিন বাণিজ্য বন্ধ ও ৭ ঘণ্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তবে বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
Leave a Reply