কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে আসামি ধরতে গিয়ে নিখোঁজের প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সদরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ সহকারী উপপরিদর্শক মুকুল হোসেনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত সহকারী উপপরিদর্শক সদরুল হাসান পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের বড় ছেলে। আর নিখোঁজ সহকারী উপপরিদর্শক মুকুল হোসেন (৪০) মেহেরপুর জেলার কালাচাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিখোঁজের প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর কুমারখালী থানার এসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করেছে। আজ সকাল থেকে কুষ্টিয়া ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস এবং খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ৭ জন ডুবুরিদলসহ মোট ১১জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
সোমবার ভোর রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে নৌকায় আসামি ধরতে গেলে অবৈধ ইলিশ মাছ শিকারি দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এ সময় নৌকা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।
হামলার ঘটনায় আহত হন আরও এক এসআই নজরুল ইসলাম ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নদীতে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
সূত্র : অনলাইন ডেস্ক আরটিভি
Leave a Reply