লালমনিরহাটে বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের বাড়ি, খামার, এবং মাছের প্রকল্পে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ১৪ মাস পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটিতে সাংবাদিকসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ মন্ডল গত ২ নভেম্বর থানায় এই মামলা করেন। তার অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৬, ৮ ও ১২ সেপ্টেম্বর তিন দফায় তার বাড়ি, খামার ও মাছের প্রকল্পে হামলা চালিয়ে মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লবের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। হামলায় অভিযুক্তরা নগদ ১৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ২৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। এরপরও তারা পুনরায় চাঁদা দাবি করে এবং না দিলে পরবর্তী হামলাগুলো চালায়। দ্বিতীয় হামলায় চেয়ারম্যানের পোল্ট্রি খামার থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মুরগি লুট করে এবং তৃতীয় হামলায় মাছের প্রকল্প থেকে সাত লাখ টাকার মাছ নিয়ে যায়।
মামলার অন্যতম অভিযুক্তদের মধ্যে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলমগীর বাদশা, শ্রমিক লীগ কর্মী মমিদুল ইসলাম, এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক রতন মিয়া রয়েছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। এছাড়া, মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক রাসেল হককেও আসামি করা হয়েছে, যার প্রতিবাদে স্থানীয় সাংবাদিক মহল থেকে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের সাবেক সভাপতি মোফাকখারুল ইসলাম মজনু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ না করলে এর ফল ভয়াবহ হতে পারে।লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply