চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর মামলায় সদর উপজেলার ২ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহ ১১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আটক আসামিরা হলো সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন উর রশিদ এবং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাহিদ ইসলাম রাজন।
অপর আটক আসামীরা হলো, আজগর আলীর ছেলে বাবলু, মৃত এবরান মন্ডলের ছেলে সেলিম, মৃত আমজাদ আলীর ছেলে মোঃ সওদাগর আলী, মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ আব্দুলাহ (মেম্বার), মোঃ গুদর আলীর ছেলে মোঃ হারেজ (মেম্বার) ও মোঃ তারাজ আলী, এ্যাডভোকেট আবু নজর (বিটিশ) এর ছেলে আবু সালেহ খোকন, মৃত দুঃখু মন্ডলের ছেলে ইমরত আলী ও আবু বাক্কারের ছেলে আব্দুস সাত্তার। এরা সকলে বারঘরিয়া ও মহারাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
তারা মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত হলে আদালতের বিচারক আশরাফুল হক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ করে আতংক সৃষ্টি করার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ জামান জামান আনন্দ ও সাধারন সম্পাদক আশিকুজ্জামান আশিক সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে। এছাড়া আরোও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছিলো।
গত শুক্রবার (০১ নভেম্বর) মো: ইউসুফ আলী নামে একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই মামলার আবেদন করে। ইউসুফ আলীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নের কালিতলা গ্রামে এবং তার পিতার নাম মৃত আব্দুল মালেক।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ০৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতার সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তিমোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলছিল। সেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন কর্মসূচীতে যোগ দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া থেকে ইউসুফ আলী,
সাগর, সাকিব, রিফাত, নাফিস, বাবুসহ আরোও অনেকে অটোরিক্সা যোগে শান্তি মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় এজাহারে উল্লেখিত আসামীগন তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এছাড়া এই সময় ইউসুফ আলী, সাগর, সাকিব, রিফাত, নাফিস, বাবুসহ অন্যান্যদের উপর এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে সরকার পতনের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
বাকি পলাতক আসামিরা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. সাইফ জামান আনন্দ ও সাধারন সম্পাদক আশিকুজ্জামান আশিক,
মোঃ মফিজ, মোঃ হান্নান, মোঃ হযরত, মোঃ লোকমান আলী, নাহিদুজ্জামান নাহিদ, মোঃ এন্তাজ, আব্দুস সালাম ভাঙ্গারী, মোঃ আবুল বাশার ও সাদরুল ইসলাম সনি।
Leave a Reply