ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার চাঁদপুর বাজার সংলগ্ন কুমার নদির বেইলি ব্রিজটির মাঝখানের লোহার অংশ ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির দুপাশে বাশবেধে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিলেও চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। এর আগে ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটারপর চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ত.ম মাসুদ পারভেজ তার নিজ খরচে আংশিকভাবে ব্রিজটি মেরামত করে দেন। গত ৭দিন যাবৎ ব্রিজটির মাঝখানের নিচের অংশে ভেঙে যাওয়ায় ব্রিজটির উপর দিয়ে ছোট বড় সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ৩০ বছর আগে মধুখালী ও ততকালীন বোয়ালমারী দুই উপজেলাবাসীদের চলাচলের জন্য কুমার নদির ওপর লোহার কাঠামোর এই ব্রিজটি নির্মাণ করেন। বর্তমান এই বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টনের অধিক মালামাল বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় ব্রিজটির মাঝখানের লোহার অংশ ভেঙে যায়। স্থানীয়দের দাবি ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হোক।।
পল্লী চিকিৎসক মোঃ ফারুক হোসেন জানান, গত ৭ দিন যাবৎ সেতুটির মাঝখানের অংশ ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। নড়িখালী বাসষ্ট্যান্ড থেকে চাঁদপুর বাজার এক কিলোমিটার পথ আসতে অতিরিক্ত প্রায় ৮কিঃ মিঃ পথ পাড়ি দিয়ে বাড়াঘাট ব্রিজ হয়ে চাঁদপুর বাজারে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ত.ম মাসুদ পারভেজ জানান, এর আগে ব্রিজটির পাটাতন ফাক হয়ে দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। পরে আমি নিজ খরচে তা মেরামত করে দিয়েছি। আবার ৭ দিন আগে ব্রিজের মাঝখানের অংশ ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার এসে ব্রিজটি দেখে মেরামতের জন্য ঢাকায় মালামালের অর্ডার দিয়েছিলেন মাল ও চলে এসেছে খুব দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে। এলজিইডির ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খান জানান, আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি মেরামত করে দেয়ার জন্য।
Leave a Reply