ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সরইবাড়ী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার এবং মাছ ধরা নিয়ে দু,পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
আহতরা হচ্ছে হাসমত হাওলাদার (৬৫), আবুল হোসেন মাতুব্বর(৬০), লতিফ হাওলাদার (৬০) ও রাজু চৌধুরী (২৯),জুবায়ের হাওলাদার (৩২), পান্নু মাতুব্বর (৫০), ওবায়দুর রহমান (৪০), রসমত হাওলাদার (৪৪), আবু জাফর হাওলাদার, রুবেল চৌধুরী (৩৫), মিন্টু খান (৪৪), নাসির চৌধুরী (৪৪), শরীফ খান (২৭),
রফিক চৌধুরী (২৭), রুবেল হাওলাদার (৩৫), ইয়াসিন (২৩)। সোমবার(১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে এলাকায় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। বর্তমানে এলাকায় এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ , আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামের ‘তালুকদার গ্রুপ ‘ ও ‘ খান গ্রুপের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ‘ তালুকদার পক্ষের নেতৃত্ব দেন ওই গ্রামের বাবুল তালুকদার (৬০) ও খান পক্ষের নেতৃত্ব দেন কবির খান (৫৫)। গত কয়েকদিন পূর্বে একটি পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে দু,পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনা চলে আসছিল। এ নিয়ে ফরিদপুরে কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
এর জের ধরে সোমবার সকাল ৬ টার দিকে শুরু হয়ে দু,পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষ চলে প্রায় সকাল ৮ টা পর্যন্ত। এতে দুই পক্ষের কয়েকশত লোক রামদা, ঢাল, সরকি, ইট, পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তুজারপুর ইউনিয়নের সরইবাড়ি গ্রামে তালুকদার ও খান পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকায় এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply