বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান সরকার এক নয়। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বর্তমান সরকার একটি সংকটময় মুহূর্তে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আসে। এ সরকারকে শুধু নির্বাচন নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারও করতে হবে। আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা উচিত।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর নেতিবাচক আলোচনার কারণে ফ্যাসিবাদের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জাতির সামনে যে সংকট রয়েছে, তা সমাধানের একমাত্র পথ ধৈর্য অবলম্বন এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কার। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া কোনো সমাধান সম্ভব নয়।”
এ সময় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, এবং পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তবে নির্বাচিত সরকার এলে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান হবে। এজন্য দরকার সংস্কার ও নির্বাচন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করা হয়। আমরা শপথ নিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলব।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনৈতিক উদ্যোগ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হতে পারে না। এ ধরনের অংশগ্রহণ কেবল নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই সম্ভব। আমরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির পথে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিএনপি মহাসচিব সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করুন। আপনাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। এখন আপনাদেরও আমাদের সহযোগিতা করা উচিত।”
Leave a Reply