যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ৭১ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৩২ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭ জন। এছাড়া বাকিরা বিভিন্ন গ্রেডে পাস করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পুনর্নিরীক্ষার প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, প্রকাশিত ফলাফলে আপত্তি ও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ৬৬ হাজার শিক্ষার্থী উত্তরপত্র নতুন করে মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেন। এতে ৭১ জনের ফলে পরিবর্তন এসেছে।
পুনর্নিরীক্ষণের প্রকাশিত ফলাফল দেখা যায়, ‘এ’ গ্রেড থেকে ‘এ’ প্লাস পেয়েছে ১৭ জন, ‘এ’ মাইনাস থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছেন ১৬ জন। এফ গ্রেড (ফেল) থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাস করেছেন ৩২ জন।
বোর্ডসূত্রে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর প্রকাশিত ফলকে চ্যালেঞ্জ জানান ৬৬ হাজার পরীক্ষার্থী। এর অর্ধেকের বেশি আবেদন পড়ে ইংরেজিতে। যশোরে শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠার পর এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। গণহারে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন পড়লেও ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে মাত্র এই ক’জনের।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন,পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনর্নিরীক্ষার রেজাল্টে পরিবর্তন আসে। এবার ৬৬ হাজার পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নতুন করে পরীক্ষক নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হয়। এতে ৭১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। যাদের ফল পরিবর্তন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩২ জন প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছিল।
তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনর্নিরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে কিছু খাতায় অনিচ্ছাকৃত বা গণনার কারণে ভুল হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী, যে প্রাপ্য ফলাফল সেটাই দেয়া হয়েছে। আর খাতা দেখায় ভুল করা পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলে সারাদেশে আটটি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে যশোর বোর্ডের অবস্থান সপ্তম। যশোর শিক্ষাবোর্ডে গড় পাশের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে এ বছর এক লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে পাস করেছে ৭৮ হাজার ৭৬৪ জন। এ বছর যশোর বোর্ডে ৩১ শতাংশ পরীক্ষার্থী ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে।
Leave a Reply