বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আগামী সোমবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হতে পারে। এটি আগামী মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়াসহ দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে।
আগামী তিনদিনের মধ্যে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২১ অক্টেবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ভারতীয় অবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পিশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবারের (২২ অক্টোবর) মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এটি রোববারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে। এরপর এটি উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর মঙ্গলবার এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে গিয়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পরবর্তী নির্দেশনা সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।
এরইমধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে দেশের কোথাও বৃষ্টি নেই। একই সঙ্গে রাতের তাপমাত্রাও ক্রমে কমছে। শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
সুত্র skhobor
Leave a Reply