বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৪ টার সময়, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, ঢাকায়, সেরা অদম্য সাংবাদিক বা ‘মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট’ শ্রেণিতে সাংবাদিক অপুকে বাংলার বীর ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদান করে।
ফয়সাল আজম অপু ছাড়াও আরও কয়েকজন বিশিষ্টজনকে বর্ষসেরা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করেন। এরা এশিয়া মহাদেশের ৪৯টি সার্বভৌম দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকতার বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলার বীর ফাউন্ডেশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, পুরস্কারের জন্য অনেক মেধাবী ও সাহসী সাংবাদিকের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।
সংস্থাটি আরও জানায়, ‘আমরা দেখেছি, মুক্ত গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা এখন অবিশ্বাস্য চাপের মুখোমুখি। বিশ্বসহ দেশব্যাপী সাংবাদিকদের সততা দেখে আমরা মূগ্ধ ও বিস্মিত, যারা চাপ সত্ত্বেও অদম্য সাহস নিয়ে সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আপনাকে (ফয়সাল আজম অপু) ‘বর্ষসেরা পুরস্কার-২০২৪’ দিতে পেরে গর্বিত।’
অপুকে কেন এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যায় সংস্থা’টি বলেছে, ‘বিভিন্ন বাধা সত্ত্বেও তিনি জনগণের তথ্য অধিকার সমুন্নত রাখতে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন।’
পুরস্কারের জুরিরা বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকরা কীভাবে জনগণের জন্য পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় এবং সমাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অবদান রাখে তার একটি ভালো উদাহরণ প্রথিতযশা, সাহসী, বরেন্য এই সাংবাদিক ফয়সাল আজম অপু।’
সাংবাদিক ফয়সাল আজম অপু সংস্থা’টির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, হাজারো সাংবাদিকের ভীড়ে আমার কাজের মূল্যায়ন করাই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আরও একটি অর্জন, আমার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো–অতি গুরুত্বপূর্ণ বর্ষসেরা পুরস্কার-২০২৪।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায়, মনোনীত হয়েছি, এতে সত্যি আমি গর্বিত। সত্যি এটি আমার আনন্দের বিযয়, তবে এই আনন্দ ও সন্মান শুধু আমার একার নয়, আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, নিউজের ভক্ত, ভালোবাসার মানুষ গুলোর!
এই অর্জন, আমার সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে শক্তি, সাহস, স্পৃহা বাড়িয়ে দিলো আরও শতকোটি গুণ। সকলের নিকট দোয়া কামনা করি।
উল্লেখ্য, পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার বীর ফাউন্ডেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ রাজিউন সালমা লাভনীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এম, নাজিম উদ্দীন আল আজাদ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এস এম আমানুল্লাহ প্রমূখ।
সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলার বীর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা।
Leave a Reply