১ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৩ টার সময় টেকনাফ পৌরসভা সংলগ্ন প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।মানববন্ধনে বক্তব্যরা বলেন, টেকনাফে আওয়ামী লীগ দুসরেরা অস্ত্র মাদক মানবপাচার সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের দূরত আইনের আওতায় আনা জরুরি। সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। দিন দিন অপহরণ বেড়েই যাচ্ছে। সকল প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন আমরা টেকনাফ কে মাদকমুক্ত চাই। অপহরণ বানিজ্য বন্ধ করুন। মানবপাচার বন্ধ করুন।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে, সভাপতির বক্তব্য রাখেন টেকনাফ পৌরসভা শ্রমিকদলে সভাপতি আবদুর রশিদ। টেকনাফ পৌরসভা শ্রমিকদলের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা যুবদলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আমিন আবুল। সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাহের। পৌর যুবদলের আহবায়ক আবদুল শুক্কুর। পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আরমানী। সদর বিএনপি যুগ্নসম্পাদক সেলিম। পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক তারেক আহামদ সাগর। যুব নেতা টুটুল, আনোয়ার, শ্রমিকদলের নূরুল হুদা, সোহেল সহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানতে চাইলে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অপহরণ, মানব পাচার, অস্ত্র পাচার, ইয়াবা পাচার বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা অবনতি হচ্ছে। এসব প্রতিরোধ করার জন্য পুলিশবাহিনী মাঠে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ওসি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পরবর্তী সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। এর সুযোগে বিভিন্ন ধরনের দুর্বৃত্ত, চোরাকারবারি, মাদক কারবারি দেখা দিয়েছিল।
এর সুযোগে বিভিন্ন ধরনের দুর্বৃত্ত, চোরাকারবারি, মাদক কারবারি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ মাদকদ্রব্য সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করান। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীয় কিছু কিছু আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে এসব প্রতিরোধে পুলিশ দৃঢ়তার সাথে কাজ করবে।
ওসি আরও বলেন, অপরাধীরা যেই হউক না কেন, তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। হ্নীলার শিশু ছাত্র রাফি অস্ত্র নিয়ে আটকের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। অথচ আমরা কাউকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করি না।
শিশুটির স্বীকারোক্তি আপনেরা শুনেছেন। আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত থাকায় শিশু কে আটক করা হয়। মেম্বার রেজাউল করিমের পরিবারকে মিথ্যা ভাবে জড়ানো হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, তাদের পরিবারের অপরাপর সদস্যরা যারা রয়েছে তাদের অনেকেরই বিরুদ্ধে মাদক,
অস্ত্র ও হত্যা সহ মামলা রয়েছে। যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয় থানায় সিডিআর দেখলে পাবেন। অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, অতি শিগগিরই আমরা হোয়াইক্যং, বাহার ছড়া ও হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয়দের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply