সবশেষ রোববার (১ ডিসেম্বর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও চার মামলায় দণ্ড রয়েছে। যদিও বিএনপির আশা, দণ্ড পাওয়া বাকি চার মামলায়ও ন্যায়বিচার পাবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এখনও যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান, তার মধ্যে রয়েছে- অরফানেজ ট্রাস্ট, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, মানিলন্ডারিং, মানহানির মামলা।
এর মধ্যে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
আর জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
এ ছাড়া বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত। তবে ওই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কিন্তু তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
আর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার অভিযোগ- লন্ডনে ২০১৪ সালে এক সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার ও পাকবন্ধু উল্লেখ করে বক্তব্য দেন তিনি। এ অভিযোগে নড়াইলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থা জারির পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে দেশ ছাড়েন। এরপর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারেক রহমান আর দেশে ফেরেননি। বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
সূত্র : অনলাইন ডেস্ক আরটিভি
Leave a Reply