প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা খাবারগুলো দাঁতের জন্য কম ক্ষতিকর হওয়া উচিত। বিশেষ করে স্ন্যাকস জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে ফলমূল, সবুজ ও আঁশ জাতীয় খাবার, দানা জাতীয় খাবার (যেমন বাদাম), চামড়া ছাড়া পোল্ট্রি মুরগি ও মাছ এবং কম চর্বি জাতীয় খাবার ও চর্বি ছাড়া ডেইরি জাতীয় খাবারগুলো।
♦ দাঁত ও মাড়ির জন্য ক্ষতিকর খাবার
♦ ক্যান্ডি : অতিরিক্ত চিনি থাকায় এটা শুধু এনামেলের ক্ষতিই করে না দাঁত ভেঙে যেতে পারে অথবা এনামেল উঠে যেতে পারে।
♦ বরফ : শক্ত বরফ সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে দাঁত ভেঙে যেতে পারে অথবা এনামেল উঠে যেতে পারে।
♦ এসিডিক খাদ্য : এসিডিক খাদ্য, যা সাইট্রাস ফুড এনামেল ক্ষয় করে ও মুখের ঘা বেড়ে যায়। তাই বেশি করে পানি খেতে হবে।
♦ কফি ও চা মুখ শুষ্ক করে ও দাঁতে দাগ সৃষ্টি করে। তাই কফি ও চা পান করলে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
♦ চিপস জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় দাঁতের ফাঁকে ঢুকে গিয়ে ব্যথার কারণ হতে পারে।
♦ কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস সাধারণত এসিডিক হয় তাই এনামেলের ক্ষয় হতে পারে। তাই সফট ড্রিংকস খাওয়ার পর পানি খেলে দাঁতের জন্য ভালো হয়।
দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী খাবার
♦ ফসফরাস আছে এমন খাদ্য যেমন : মাংস, মুরগি, মাছ, দুধ ও ডিম দাঁত গঠনের সাহায্য করে। কারণ এখানে উন্নত মানের প্রোটিন থাকে।
♦ ডেইরি ফুড যেমন : পনির, দই জাতীয় খাবারে চিনি কম থাকে তাই মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য এসব খুব ভালো খাবার।
♦ ফল ও শাকসবজি দাঁত গঠনে খুবই উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ পানি ও ফাইবার থাকে, যা চিনি ব্যালেন্স করে। এ ছাড়াও এসব খাবারে থুতু উৎপাদনে সহায়তা করে। এতেও দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার থাকে।
♦ বাদাম জাতীয় খাবারে শর্করার পরিমাণ কম থাকে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. অনুপম পোদ্দার
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
পেরিওডন্টোলজি অ্যান্ড ওরাল প্যাথলজি বিভাগ
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল
Leave a Reply