পুর্নগঠনের বিরাট বাধা হয়ে দাড়িয়েছে এই নৈরাজ্যবাদীতা । শত প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করে ও অন্তরবর্তী কালীন সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন , সহ বিচার বিভাগ ,আইন ,প্রশাসন , অর্থনৈতিক অবস্থা পুনর্গঠন করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশকে একটা সম্মান জনক জায়গায় নিয়ে এসেছে। কিন্তু বিগত ষোল বছরের কর্তৃত্ববাদী সরকার জনরোষের পড়ে শেখ হাসিনা পলাতক হওয়ায় দেশিয় লোটেরা,,এবং পাশ্চবর্তী প্রভুরাষ্ট্র চরম ভাবে নাখোশ। তাই একটির পর একটি ব্যর্থচেষ্টা করে যাচ্ছে। সর্বশেষ ইসকন দিয়ে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে দাংগা সৃষ্টি করে বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত।
ইসকন কি ? ১৯৬৬সালে ১৩ জুলাই ,,আমেরিকা নিউইয়র্ক শহরে এই সংগঠনটির জন্ম। প্রতিষ্টাতার নাম “অভয়চরনাবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ “।অবাক হওয়ার বিষয় এই ব্যক্তি ভারতের কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখা পড়া বা সনাতনী ধর্ম্ম সম্পর্কে তার কোন শিক্ষা ছিল না। তিনি লেখাপড়া করেন খ্রিস্টান চার্চে। পেশায় ছিলেন তিনি ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ী। কিন্তু হটাৎ করে তার মাথায় হিন্দু সংস্করণের নূতন চিন্তা ,প্রভুপাদ মধ্যেযুগের চৈতন্য মহাপ্রভুর বৈষব চেতনার উপর ভিত্তি করে একটি নতুন ধরনের হিন্দু সম্প্রদায় সৃষ্টি করা।
তার ব্যখ্যা মতে ভগবত গীতা ,ও ভগবত পুরানের ওপর নির্ভরশীল হলেও এটা ভারতের মূলধারার সনাতন ধর্মাবলম্বী হতে আলাদা । তাই জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের সনাতনী হিন্দু নেতৃবৃন্দ ও পন্ডিতগন এর বিরোধীতা করেন। এবং উনারা বলেছিলেন ,হিন্দুদের নাম ভাংগিয়ে খ্রিস্টানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন আর হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করবে। তাই এই সংগঠন হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। তখন ইসকনের পাশে এসে দাড়িয়ে ছিল জে,ষ্টিলসন জুডো ,হারভে কক্স ,লাবি শিন,ও থমাস হপকিনস সহ অনেক চিহ্নিত খ্রিস্টান ও ইহুদি নেতৃবৃন্দ। বর্তমানে তাদের হেডকোয়ার্টার ভারতের নদীয়া জেলার পশ্চিম বংগে হলেও এর মূল দায়িত্ব চালিকাশক্তি ইহুদিদের হাতে।
ইসকনকে সাহায্যর কারণ হলো ,এই সংগঠনটির বেসিক কনসেপ্ট মধ্যেযুগের চৈতন্য থেকে আগত। আর চৈতন্যর অন্যতম মূল থিওরী হলো “নির্জবন করো আজি সকল ভূবণ “। এর অর্থ হলো পৃথিবী থেকে মুসলিম নি:শেষ করা । জন্মের পর থেকে সবাই মিলে হাটি হাটি পা পা করে এই কাজ ই করে যাচ্ছে।
সত্তরের দশক থেকে ইসকন আমাদের দেশে কাজ শুরু করে । চৈতন্যর থিওরী আর ইহুদিদের অর্থ ,মেধা সহ সব ধরনের সাহায্যর মাধ্যমে অর্ধশতাব্দী থেকে ইসকন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইসকন সময়ের সাথে সাথে রাজনৈতিক ও সামাজিক কারনে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে তাদের বক্তব্য পাল্টায়। যেমন ,সনাতনী হিন্দুরা মুর্তি পুজারী। কিন্তু ইসকনের সদস্যরা মুর্তি পুজারী নন ,তারা একেশ্বরবাদী। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে তারা শ্রী চিম্ময়ের নেতৃত্বে “সনাতনী জাগরণ মঞ্চ “করে সরলমনা হিন্দু ধর্মের লোকদের নিয়ে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য ব্যবহার করছে।
এবং সময়ে সময় তারা দিল্লি সরকার অথবা অতীতে প্রিয়া সাহার মতো ইসকন সদস্য আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে সাহায্য চায় ,দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। কিন্তু ইসকন একটি আন্তর্জাতিক একটি এন জি ও হিসেবে দেশের রাজনীতিতে অংশ নেওয়া বা বক্তব্য দেওয়ার কোন অধিকার নেই । কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে পতিত স্বৈরাচারের পতনের পর ইসকনের নেতৃবৃন্দ পাগল হয়ে খুলনা ,চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরাট বিরাট মহা সমাবেশ করে ,,হিন্দুদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ,পাচ দিনের দুর্গাপূজার ছুটি সহ হিন্দুদের আট দফা দাবি আদায়ের জন্য সরকারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
তারা তো দেশে রাজনৈতিক দলের মতো কার্যক্রম করার অধিকার রাখেনা। যদি দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলতে হয় হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন আছে তারা বলতে পারে । তা ছাড়া ,ইসকন তাদের কাজের কৌশল হিসেবে সমাজের গরীব ,পিছিয়ে পড়া নিম্নবর্নের হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজ করে। ঢাকার স্বামীভাগ এবং সিলেটের চা শ্রমিকদের মধ্যে কাজের উর্বর ভূমি হিসেবে বেছে নেয়। সেখানে থেকে এখন সারা দেশে আজ বিরাট মহিরুহ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সনাতনী মন্দির দখল করে ইসকন মন্দির প্রতিষ্ঠা ,দাতব্যচিকিৎসালয় স্থাপন ,সহ ব্যাপকভাবে বিভিন্ন জায়গায় চ্যারেটি কাজে যে অর্থ ব্যয় হয় তার উৎস কোথায় ?
কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন সিমলা বলেছিলেন , ভারত সরকার ইসকনকে অর্থায়ন করে। একটা বিদেশি এন জি ও হিসেবে আয়ের উৎস ও ব্যায়ের খাতের হিসাব কি সরকারের কাছে আছে ? মহা সমাবেশের মাধ্যমে প্রকাশ্যে হুমকি ,,এবং আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করে পার্শ্ববর্তী দেশের সাহায্য চাওয়া সহ দেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সহ অসংখ্য প্রশ্নে বিদ্ধ আজকে আমাদের দেশে ইসকন । সর্বপরি গত ২৬শে নভেম্বর শ্রী চিম্ময়কে সুনির্দিষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহীর মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষথেকে এব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারপর ও কোর্ট জামিন না দেওয়ায় ,
চট্টগ্রামের সরকার পক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে দিবালোকের হত্যার মাধ্যমে এক নজির সৃষ্টি করে। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে এক তরফাভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ,বানোয়াট বিভ্রান্তিকর খবর বহিবির্শ্বে চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় , ভারতীয় মৌলবাদী মোদি সরকার ও কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের নের্তৃত্ব শ্রী চিম্ময়ের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপর কয়েক দিন ধরে চাপ দিতে থাকে।ভারতের পশ্চিম বংগ সহ বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নেতৃত্বে মিছিল সমাবেশ করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানান জাতি সংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশে পিছ কিপিংগের সৈন্য পাঠানোর জন্য ।
বাংলাদেশে এমনকি অবস্থা হয়েছে জাতি সংঘের হস্তক্ষেপ করতে হবে ? আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে তাদের এতো মাথা ব্যাথার কারণ কি? ভারতের বিভিন্ন অংঘরাজ্য ,বাবরি মসজিদ সহ প্রায় আটশো বেশি মসজিদ ও মুসলমানদের স্থাপনা ভেঙে মন্দির বানানো হয়েছে। এবং এর চেয়ে হাজার গুন বেশি দাংগা ,হত্যা ভারতে হচ্ছে। বাংলাদেশ তো কোন সময় তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেনা।সর্বশেষ গত দুই ডিসেম্বর ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু দলের নেতৃত্বে মিছিল করে পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়। অঅফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর ,,এবং আমাদের জাতীয় পতাকাকে পদদলিত করে আগুন দেয়। একটি দেশের হাইকমিশনে হামলা ,তা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন।
ভারতের দ্বারা আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব উপর আঘাতের শামিল। শুধু তাই নয় হাজার হাজার উশৃংখল মৌলবাদী হিন্দু একটা বিশেষ দলের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আগরতলা , সুতারকান্দি ও জকিগঞ্জ বর্ডার সহ বিভিন্ন দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে দাংগার সৃষ্টির চেষ্টা করে । ভারতের বি এস এফ এবং আমাদের বিজিবি প্রচেষ্টায় তা দমাতে সক্ষম হয়। শিলচর ,করিমগঞ্জ সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বৈধ ভিসা নিয়ে যাওয়া পর্যটক বা চিকিৎসার জন্য লোকজনকে হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না,পন্য বিক্রি করছে না আইন শৃঙ্খলার লোকজন ও খারাপ আচরণ করছে। এই তত্ত্ব গুলো ভারত থেকে ফিরে এসে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন মিডিয়ায় বলছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারত ,সে দেশের জনগণ ও সরকারের কাছ থেকে আমরা এ ধরনের আচরণ কখনো আশা করিনি। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত আমাদের ভূখণ্ড ও জাতীয় পতাকা।
প্রতিটি বাংগালীর হ্রদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ভারত যখন আমাদের সাথে এই আচরণ করেছে। বাংলাদেশের এখনো হিন্দু -মুসলিম সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে । আমাদের দেশের বহু হিন্দু ধর্মের লোকজন বর্তমান এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন এটা আমাদের দেশ,কিছু সংখ্যক কুচক্রী মহল আমাদের নাম ভাংগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে। আমরা এর নিন্দা জানাই । আমাদের সোনার বাংলা ছেড়ে ভারতে গিয়ে রোহিঙ্গা হতে চাই না। ভারতের সংখ্যা লঘুর চাইতে আমরা এখানে শতগুণে ভাল আছি । আমরা আপ্লূত হই সাধুবাদ জানাই । এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষথেকে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি সকল কুটনৈতিকদের ঢেকে দেশের পক্ষথেকে অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। ৬২ টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হলেও ,ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন না।
কিন্তু পরে তাকে ডেকে এনে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে দেশের ক্রান্তিলগ্নে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল গুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য সংহতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। লাখো জনতার উপস্থিতিতে বিরোধী দল, ছাত্র সমাজ সবাই রাজপথে শান্তিপূর্ন , বিক্ষোভ , সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন, শ্রী চিম্ময়ের গ্রেফতার ,বা ইসকন ইস্যু নিয়ে ভারত কেন এতো মারমুখী অবস্থানে গেল ? না এর ভিতর কোন রহস্য আছে। নিশ্চয়ই একটা কথা মনে রাখা দরকার। শেরে বাংলা এ কে এম ফজলুল হক বলেছিলেন ,”যখন দেখবে ভারত আমাদের উপর খুব খুশি ,,তখন বুঝতে হবে আমাদের দেশ সঠিকপথে চলছে না। আর যখন দেখবে ভারত আমাদের উপর খুব ই ক্ষীপ্ত তখন মনে করবেন আমরা সঠিক পথে আছি “।
এই কথা থেকে প্রতিয়মান হয় যে এত দিন কি মধুর সম্পর্ক ছিল যে ,,পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন স্বামী ,স্ত্রীর সম্পর্ক ,ভারতের উন্নয়ন মানে আমাদের উন্নয়ন । স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেন আমি ভারত কে যা দিয়েছি সারা জীবন তা স্বরন রাখবে। গত ষোল বছরে ক্ষমতার চুড়ান্ত পর্যায়ে থেকে অবলীলায় আমরা এসব কথা শুনেছি। আর বাস্তবে দেশে গনতন্ত্র ,,আইনের শাসন না থাকায় ,,ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে সংসদে আলোচনা বা জনগণকে জানানো হয় নাই। বাস্তবে দেখেছি অনেক চুক্তি আমাদের দেশের স্বার্থের বিপক্ষে করা হয়েছে। তাইতো মোদী সরকার এখন পতিত স্বৈরাচার পুতুল সরকারকে তার নিজের দেশের স্বার্থের একটার পর একটা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসাতে চায়। সেজন্য শেখ হাসিনার পতনের পর আমেরিকা ,,ইউরোপ কোন দেশ তাকে জায়গা দেয়নি।
কিন্তু শেখ হাসিনার পাসপোর্ট না থাকা সত্ত্বেও ভারত আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনাবলীর মধ্যে দিয়ে বাংলার আপামর জনসাধারন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ভারতীয় অন্যায় আগ্রাসী ,আধিপত্য বাদের বিরুদ্ধে। আর ইতিহাসের পুরোধা আওয়ামী লীগ নিজের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে নিজেদের কবর রছনা করছে। যে মূহুর্তে দেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় পতাকা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন। জাতীয় ঐক্যর একান্ত প্রয়োজন। সেই সময় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ইসকন এবং তার নেতা শ্রী চিম্ময়ের ভারতের সাথে সুর মিলিয়ে শেখ হাসিনা ,, জাহাংগীর কবির নানক প্রমুখরা মুক্তি চায়।
ভারতের ভূল পররাষ্ট্র নীতি ও আধিপত্যবাদী মনোভাবের কারনে এশিয়ার প্রত্যেকটি দেশের সাথে সম্পর্ক তলানিতে। এমনকি নেপালের মতো হিন্দু অধ্যশিত দেশের সাথে ও তাদের সম্পর্ক খারাপ। ভারতের স্বাধীনতার ধর্মনিরপেক্ষতার যে চেতনা ,সাংবিধানিক অধিকার সবকিছুই হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন বিজেপি সরকারের কাছে ভূলুণ্ঠিত। ভারতের সংখ্যা লঘুরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছেন।
কারন বিশ্বের কোথাও ধর্মের নামে রাজনীতি করে দেশ , জাতি বা সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয় নাই। সংঘর্ষ ,দাংগার রক্তের মধ্যে দিয়ে একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী লোকজন ই লাভবান হয়। যে ভূল পথে ভারত আছে ,সেই পথে মনে হয় বাংলাদেশকে ঠেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের হাজারো বছরের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐতিহ্য ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে সকলের যত্নশীল ও ঐক্যবদ্ধ হওয়া একান্ত জরুরী।
Leave a Reply