মেয়ে শিশু বোঝা নয়, সুয়োগ দিলেই সম্পদ হয়। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নিজের বুদ্ধি মত্তাকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া বুদ্ধিমতি প্রতিবাদী শিক্ষার্থী কুমারী অনামিকা রানী।তারপর থেকে এই অল্প বয়সী মেয়ে নিজেকেই সংগ্রার্থী ও প্রতিবাদী হিসেবে গড়ে তুলে আর থেমে থাকতে হয়নি তখন থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সহ সমাজের অবহেলিত মেয়ে শিশুদের নিয়ে কাশিপুর ইউনিয়নের আকোয়াটারী গ্রামের সেই সাহসী কন্যা প্রগতিশীল শিক্ষার্থী কুমারী অনামিকা রানী।
শুধু এইটাতে থেমে থাকিনি আমি শিশুবিষয়ক অপরাধ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী বালিকা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। যাতে অবহেলিত মেয়েদের জীবন সুন্দর করতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছি, এটি বলিয়ে অব্যাহত থাকবে আবার।
সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার মানে জীবন যুদ্ধের একটু ব্যাতিক্রম হিসেবে নিজের জীবনটাকে গড়ে তুলেছি ছোট বেলা থেকেই প্রতিবাদমুখর ছিল চারপাশে সেখানে আমার মতো মেয়ে শিশুদের নিয়ে পরিবার কিংবা সমাজের লোকজনের বাবা বিয়ে দেওয়া অবস্থান থেকে ফেরত আসে। উনি করতে কখন নিজেকে সহ্য করতে পারতাম না.সেই জ্বলন্ত চেতনার মধ্যে দিয়েই তৈরি হয় অবহেলিত মেয়ে শিশুদের নিয়ে কাজ করার ভাবনা। পড়াশুনার পাশাপাশি মেয়ে শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি
আমি ২০২২সালে (এস.এসসি) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হই, এবছর ২০২৪ সালে (এইচএসসি) পরীক্ষার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ 4,56 পেয়ে উত্তীর্ণ হই। পড়াশোনা সহ সব কিছুতেই আমার পাশে বারা ও মায়ের সাপোর্ট ছিল তারা পাশে ছিল বলেই আমি এতদূর পর্যন্ত এসেছি। আমি এখন Plan International Bangladesh as (CNB) project fet Actionaid Bangladesh it Global platform এ কাজ করছি, যেহেতু আমাদের বাংলাদেশ জলবায়ু ডায়াপার। বাংলাদেশের দূর্যোগের সাথে মেয়ে শিশুর ইস্যু নিয়ে কাজ করছি। এক কথায় আমি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে আমার স্বপ্ন পূরণ করে সকলের মাঝে মাথা উঁচু করে দাড়াতে চাই এখন।
Leave a Reply