দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আল্লাহর ঘর মসজিদের অর্থ আত্বসাত করতে থাকে। তিনি ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে ভোটে দাড়িয়ে জামানত হারিয়েছেন। গত ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সম্প্রতি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা তার কাছে আয়-ব্যয়ের খাতার হিসাব নিতে বসলে তিনি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে তাৎক্ষনিকভাবে তাকে এলাকাবাসী জুতা পেটা করে মসজিদ থেকে বের করে দেন। সেই সাথে নতুন করে কমিটি তৈরী করেন এলাকাবাসী।
উক্ত এলাকার বাসিন্দা মুন্সী সেলিম, ইয়ামিন, রাজু সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকারের দোষরদের কারনে আমরা মুখ খুলতে পারি নাই কিন্ত এখন আর সেই দিন নেই, দিন বদল হয়েছে। আমরা চোর দুলাল সরদার সহ তার কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি তৈরী করেছি, সে শুধু উক্ত অর্থই গ্রাস করে ক্ষ্যন্ত হন নাই খাতা কলমের হিসাবের বাইরেও অলিখিত বিভিন্ন দান খয়রাতের হিসাবেও তার কাছে বর্তমান মসজিদ কমিটি অনেক অর্থ পাবে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গ্যানজামও হয়েছিল অবশেষে উক্ত চুরিকৃত অর্থের বিনিময়ে মসজিদের পাশে থাকা জমি মসজিদের নামে লিখে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন দুলাল সরদার। তারা আরো বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তিনি থানায় দালালী করতো নিয়মিত এবং তার আরো দুই ভাই কামাল সরদার অনৈতিক কাজ কাজ করা অবস্থায় ধরা পড়েছিল,
অপর ভাই জুলমত সরদার গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। তার জন্য আমরা গ্রামবাসী লজ্জিত এই কারনেই যে, একটি বাজে নষ্ট পরিবারের সদস্যকে স্বৈরাচারী সরকারের কর্ণধারেরা আল্লাহর ঘর মসজিদের আর্থিক বিষয়ের দায়িত্ব দিয়েছিল। বর্তমানে তিনি এলাকাতেই অবস্থান করছেন আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
Leave a Reply