তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচন ছিল অনেকের কাছে বেশ আগ্রহের বিষয়। সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি ছিল সাধারণ সম্পাদকের পদটিকে ঘিরেই। সেলিম-আলী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ।সেই সঙ্গে এর আগে তিনি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুবারের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। নির্বাচনের শুরু থেকে তার জয়লাভ অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। কারণ তার পক্ষে অনেক সমর্থন ছিল। তিনি প্রচারেও এগিয়ে ছিলেন।
কিন্তু একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলীকে ঘিরে ছিল নির্বাচনী জল্পনা ও কল্পনা। তিনি জনপ্রিয় হলেও তার নির্বাচনে জয় পাওয়াটা ছিল ভীষণ কঠিন। বিপুলসংখ্যক ভোটার থাকার পরও তার জয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তিনি মনোবল হারাননি, মাঠ ছাড়েননি। ভোটারদের ফোন করা, মেসেজ পাঠানো, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভোটারের কাছে ভোট চাওয়ার কাজটি ভোটের দিনের শেষ সময় পর্যন্ত চালিয়ে গেছেন। তিনি জানতেন, তাকে পরাজিত করার সব রকম চেষ্টা হচ্ছে। তাকে নিয়ে নানা গুজবও ছড়ানো হয়।
তিনি পরাজিত হতে যাচ্ছেন- এমন প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এই গুজব ছড়ানো হয় যে, সেলিম-আলী পরিষদের নোয়াখালী ও সিলেটের অনেক নেতা গোপনে অপর প্যানেলের প্রার্থী মিন্টুকে সমর্থন দিয়েছেন। মোহাম্মদ আলী জাহিদের কাছে বিপুল ভোটে হারবেন। সেলিম-আলী পরিষদের সবাই জিতলেও মোহাম্মদ আলী হারবেন বলেও গুজব ছড়ানো হয়।খবর বাপসনিউজ।
মোহাম্মদ আলীর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নোয়াখালী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু। প্রথমত তার নির্বাচন করার কথা ছিল না। সেলিম আলী পরিষদের প্রার্থী মোহাম্মদ আলীকে মোকাবিলা করার জন্য শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে একবারে শেষ সময়ে তাকে মাঠে নামানো হয়। তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমেই সংবাদ সম্মেলন করে ৫ মিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা দেন কমিউনিটির সেন্টার বানানোর জন্য। পাশাপাশি এক লাখ কবরের একটি প্ল্যান দেওয়া হয়। এই ঘোষণা দেওয়ার পর তার পক্ষে প্রচারণা চালান অনেকেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অবিরাম প্রচারণা চালানো হয়। এ ছাড়া রুহুল-জাহিদ পরিষদের বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় শুধু জাহিদ মিন্টুকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করতেও দেখা যায়। তাকে একটি ব্যান্ড হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা করা হয়। সেই চেষ্টাও সফল হয়। তিনি উঠে আসেন জনপ্রিয়তার সামনের কাতারে। জাহিদ মিন্টু জনপ্রিয় মানুষ, তাতে কারও সন্দেহ নেই।
নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গুণাবলিও তার আছে। সময় কম হওয়ায় তিনি জয় পাননি। অভিজ্ঞরা মনে করেন, নির্বাচনে নিশ্চিত জয় হবে- এটা মনে করে তিনি মাঠে শতভাগ প্রচারণা চালাননি। যে কারণে তাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। অতি প্রচারণাও রুহুল-জাহিদ পরিষদের বিপক্ষে গেছে বলে অনেকের অভিমত। এ কারণে একটি পদেও তারা জয় পাননি।
Leave a Reply