সোশ্যাল মিডিয়া কম্পানি টিকটক আশা করেছিল, একটি ফেডারেল আপিল আদালত তার যুক্তির সঙ্গে একমত হবেন, কারণ এই আইন অসাংবিধানিক।
টিকটক বলছে, এই আইন ১৭ কোটি মার্কিন ব্যবহারকারীর মতো প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ‘অভূতপূর্ব আঘাত’ হানছে, কিন্তু আদালত আইনটিকে বহাল রেখেছেন।
আদালত বলেছেন, ‘এই আইন দীর্ঘমেয়াদি, দ্বিদলীয় পদক্ষেপ এবং পরপর কয়েকজন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের পরিপূর্ণ ফলাফল।’এদিকে রায়ের পর টিকটক জানিয়েছে, তারা এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে লড়বে। টিকটক জানিয়েছে, তাদের আইনি লড়াইয়ের শেষ নয়।
টিকটকের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমেরিকানদের বাকস্বাধীনতার অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের একটি প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক রেকর্ড রয়েছে এবং আমরা আশা করি, তারা এই গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতে ঠিক তা-ই করবে।’ তারা আরো জানায়, আইনটি ‘ভুল, ত্রুটিপূর্ণ এবং অনুমানমূলক তথ্যের’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিকটক নিষিদ্ধ করার কারণ হসেবে বলছে, চীনা সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে টিকটক ও এর মূল প্রতিষ্ঠান বাইটডান্স এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘এই আইনটি তৈরি করা হয়েছে কেবলমাত্র বিদেশি প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রণের জন্য। এ আইন চীনের (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) দ্বারা প্রমাণিত জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির মোকাবেলার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।’
Leave a Reply