এতে আন্দোলনকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, নবগঠিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি সম্পূর্ণ অযাচিত ও অযৌক্তিক। এই কমিটি শিবিরের আদলে তৈরি এবং কমিটি তৈরিতে হস্তক্ষেপ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আতিক মুজাহিদ। ফলে শিবিরের রাজনীতিতে সরাসরি যুক্তরা কমিটির প্রধান পদগুলিতে স্থান পেয়েছেন। এছারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল তারাও কমিটিতে স্হান পেয়েছে। তারা আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন সুবিধাভোগ করেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির কুড়িগ্রামের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন না।
তিনি ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন, পরে ছাত্র শিবির কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার অফিস বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন। একই সাথে তিনি এখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির কুড়িগ্রামের আহ্বায়ক।একই ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতেও তাদের লোকজনের সহায়তায় মূল আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাই আন্দোলনকারী সকল শিক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। নবগঠিত কমিটিতে স্হান পাওয়া ২জন সদস্য শিপন সরকার ও আশরাফুল আলম চমক তাৎক্ষণিক পদত্যাগ করেছেন। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে যাচাই বাছাই এর মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার দাবী জানান তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির সংগঠক কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিপন সরকার, আশরাফুল আলম চমক, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের আল আকসা সৌখিন, কুড়িগ্রাম সরাকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাজমুস সাকিব শাহী, কুড়িগ্রাম সরাকরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্ষণ বেনজির সিদ্দিক আয়াত, জান্নাতুল ফেরদৌস মিম প্রমুখ।
Leave a Reply