সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাগআঁচড়া নার্সিং হোমে ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের তত্বাবধানে সিজারিয়ানের মাধ্যমে বাচ্চাটির জন্ম হয়।নবজাতকের বাবা নূরুন নবী উপজেলার কায়বা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর নাম রত্না খাতুন।
নূরুনবী জানান, তারা জানতেন স্ত্রী জমজ সন্তান হবেন। সোমবার রাত ৮ টার দিকে স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে বাগআঁচড়া নার্সিং হোমে নিয়ে ভর্তি করা হলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই মাথাওয়ালা এক ছেলে শিশুর জন্ম হয়। দুটি মাথা বাদে শিশুটির দুটি হাত, দুটি পাসহ অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক আছে। জন্মের পর রাতেই শিশুটিকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে ওখানে ভর্তির ২ ঘন্টা পর শিশুটি মারা যায়।
বাগআঁচড়া নার্সিং হোমের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বেলায়েত হোসেন বলেন, কনজয়েনড টুইনের কারণে এমন বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়। মায়ের পেটে ভ্রূণ অনেক সময় আলাদা না হওয়ার কারণে গর্ভে দেহ এক থাকলেও মাথা আলাদা হয়। এই বাচ্চাগুলো পেটের মধ্যেও অনেক সময় মৃত্যু হতে পারে এবং অনেকের জন্মের পরও মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply