কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমিতির আয়োজনে আগামী বছর ২০২৫ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দুইদিনব্যাপী দ্বিতীয় বাংলার মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুষ্ঠানের লোগো ও নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ও চলমান বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকেরা জানান,১৯৬২ সালে এই কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়। গত ৬২ বছরে এই বিভাগ থেকে হাজার হাজার গুণি মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। বিভাগের প্রবীন ও নবীনদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথমবার ২০২২ সালে মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মত এই মিলনমেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবারের উৎসবে বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সম্মাননা ও বিভাগের পিছিয়ে পড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হবে। এছাড়া দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে থাকবে পিঠা উৎসব,লুচি উৎসব, মধ্যহ্ন ভোজ, স্মৃতিচারণা,বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ফি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দেড় হাজার, তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যে এক হাজার ২০০ ও চলমান শিক্ষার্থীদের জন্যে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলা বিভাগ ও শহরের মাইকপট্টি এলাকার সমবায় ব্যাংক ভবনের তৃতীয় তলায় ফিউশন মিউজিক স্টুডিওতে গিয়ে নিবন্ধন করা যাচ্ছে।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও ২০২৪ সালে ছাত্র জনতা অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।বাংলা বিভাগ প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমিতির সদস্য সচিব মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, এমএম কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আকতার হোসেন প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফেরদৌস আরা শিউলী, অধ্যাপক ড. শেখ মো. আমানুল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক সাহাব উদ্দীন, সহকারি অধ্যাপক এইচ এম মুরাদ হোসেন, প্রভাষক মারুফুজ্জামান, মেহেদী হাসান আজিজুর রহমান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমিতির সদস্য ও জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুল, বাঘারপাড়া কলেজের সহকারি অধ্যাপক হাসিম রেজা, রমেন রায় প্রমুখ।
Leave a Reply