এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, পার্শ্ববর্তী বাররা গ্রামের আলামীন মীর,সাহেদ আলী মীর, সম্রাট মীর,একই গ্রামের রানা ফকির সহ ২০/২৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার সন্ধ্যার দিকে লাঠি সোঠা,ধারালো বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাসিবুল মাতুব্বর সহ অন্তত ৫ টি বসত ঘরে ব্যাপক হামলা চালায়। এ সময় তারা নারকীয় হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্নালংকার,কয়েক লক্ষ টাকা এবং ৩ টি ছাগল লুটে নেয়।
তারা বাড়িঘরের টিনের বেড়া,দরজা,জানালা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এমনকি টিউবওয়েল, রান্নার চুলো,আসবাবপত্র ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এ সময় তারা যাকে সামনে পায় এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে হামলার শিকার মজিবর মাতুব্বর, হাসিবুল মাতুব্বর সহ পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে থাকা আসমা বেগম নামে এক প্রতিবন্ধী নারী বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। অপরদিকে এলাকার বটতলা বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে পরিবারের এক সদস্য হবি মাতুব্বর মারাত্মক হামলার শিকার হন।
হামলাকারীরা তাকে মাটিতে ফেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি লাথি,কিল,ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা তার মাথা ও শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
ভুক্তভোগী মজিবর মাতুব্বর এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান,তারা পেশায় গোস্ত ব্যবসায়ী। গোস্ত সরবরাহ করতে লক্ষাধিক টাকা ছিল ঘরে। তারা সব নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, তার এক ছেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিল। প্রতিপক্ষ আলামিন মীর সহ তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এজন্য তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।আমার ছেলে বেশির ভাগ সময় অন্যত্র চলাফেরা করতো। আমরা অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এদিকে বুধবার সকালে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
Leave a Reply