বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে বটতৈল এলাকার স্থানীয় ছাত্র জনতা তাকে এক ঘন্টা আটকিয়ে রেখে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বকচত্বরের উত্তর দিকে রউফ চৌধুরীর মার্কেটের সামনে আশরাফুল ইসলামকে তলপেটে, বাম পায়ের উরুসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২০ আগস্ট নিহত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী লাবণী আক্তার ইতি কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীসহ মোট ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০-৬০ জনকে। নিহত আশরাফুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শালদহ গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি রঙ মিস্ত্রির কাজ করতেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, আন্দোলনকারী আশরাফুল ইসলামকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন মিজানুর রহমান।
বটতৈল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply