প্রতিদিনের অবস্থা : হাসপাতালে বর্তমানে মাত্র একজন চিকিৎসক, একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। রোগীর সংখ্যা এতটাই কম যে, অনেক সময় ইনডোর বিভাগে একজনও রোগী থাকেন না।
ভবনের দুরবস্থা :
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ভবনটির ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। দরজা-জানালা ভেঙে পড়ার অবস্থায় রয়েছে। ইটের ফাঁকে ফাঁকে আগাছা জন্মেছে, যা ভবনটিকে এক ভূতুড়ে চেহারা দিয়েছে।
জনবল সংকট :
সরকারি অনুমোদিত ২৩৪টি পদের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৮১টি পদে লোকবল কর্মরত। চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীর পদ শূন্য থাকার কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের হতাশা :
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, হাসপাতালের দরজাগুলো প্রায়ই তালাবদ্ধ থাকে। জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয়দের শহরের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
সমাধানের প্রস্তাবনা :
ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজ ইফতেখার ভূঞা বলেন, “প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা গেলে হাসপাতালটি পুনরায় সচল হয়ে উঠবে।” সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকসানা বেগমের মতে, যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হলে হাসপাতালটি ৫০০ শয্যার মেডিকেল সেন্টারে রূপান্তর করা সম্ভব।
ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম জানান, জনবল বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উন্নয়নের আহ্বান :
স্থানীয়রা দ্রুত এই হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও জনবল সংকট নিরসনে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের মতে, রেলওয়ে হাসপাতালটি সচল হলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।
Leave a Reply