এক্ষেত্রে পলাশবাড়ীর সাংবাদিকরা সকল সম্পর্ক- জড়তার ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তারা এদিকে যেমন পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। অন্যদিকে কোন ভুল- ত্রুটি হলে সেটিও আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে ইউএনও বলেন, এ উপজেলায় প্রায় দেড় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। দীর্ঘ এসময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার যে সুন্দর সম্পর্ক তৈরী হয়েছে, তা অতীতের যে কোন সময়-স্থানের তুলনায় সেরা। প্রিয় এই মুখগুলো মৃত্যুর আগেও ভোলার নয়।
কিন্তু এখানে একটা বিষয় আমাকে অবাক করেছে, এত সম্পর্কের ভীড়ে সাংবাদিকরা তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালনে কখনো পিছপা হননি। যখনই ছোট- বড় কোন ভুল- ত্রুটি দৃশ্যমান হয়েছে, সাংবাদিকরা তৎক্ষনাত সেটা তাদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরে সহযোগিতা করেছেন। তারা সম্পর্কের জালে আটকে যাননি। সেই সঙ্গে ব্যক্তি সম্পর্কের জায়গাটিও তারা অটুট রেখেছেন।
আমি মনে করি এইযে সম্পর্ক আর দায়িত্ববোধ জ্ঞান এখন থেকে অন্যান্য জেলা- উপজেলায় কর্মরত প্রত্যেকের শিক্ষা নেবার আছে।আমি আরো মনে করি পলাশবাড়ীতে স্বাধীন যে গণমাধ্যম চর্চা চলছে, তা বর্তমান ও ভবিষ্যতে আমাদের পথ না হারাতে এবং সঠিক পথে চলতে সহায়তা করবে। এজন্য আমি পলাশবাড়ীর সাংবাদিক ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রেসক্লাব সভাপতি শাহ আলম সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টো, পরিদর্শক (তদন্ত) লাইসুর রহমান, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক পাপুল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মতিন, সাবেক সভাপতি ফজলুল হক দুদু, সাবেক সহ-সভাপতি মশফিকুর রহমান মিলটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোমেনুর রশিদ সাগর ও কার্যনির্বাহী সদস্য আবেদুর রহমান সবুজ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, সহ সভাপতি আশরাফুজ্জামান, সাবেক সহ সভাপতি ফেরদাউস মিয়া, দপ্তর সম্পাদক এহসানুল হক মিলন, ক্রীড়া সম্পাদক মতিয়ার রহমান লাভলু, ক্যাশিয়ার হামিদুল হক মণ্ডল,
সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিদুষ রায়, মাসুদ রানা, ওমর ফারক, লিমন সরকারসহ অন্যান্যরা।শেষে দোয়া পরিচালনা করেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি শাহ আলম সরকার।
Leave a Reply