পরে ৫ আগস্টের পর দেশে ফিরে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সামিরা। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএনএ পরীক্ষার পর বাবা ও মেয়ের ডিএনএতে মিল খুঁজে পায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মরহুম হারিস চৌধুরীর লাশ মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননায় দাফন ও দাফন পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
জানা গেছে, তদন্তের সাপেক্ষে গত ১৭ অক্টোবর উত্তোলন করা মরহুম হারিস চৌধুরীর লাশ এই মুহূর্তে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সংরক্ষিত আছে। আদালতের লিখিত আদেশ হাতে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়েও হাইকোর্টের এই নির্দেশনা পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী জানান, আদালতের আদেশ আমাদের হাতে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আব্বুকে সিলেটে তার ওসিয়ত অনুযায়ী নিজ প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার কবরস্থানে দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রশাসন আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। আগামী ১৯ তারিখ আমি সরেজমিনে দেখতে কানাইঘাট যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি আশা করি হাইকোর্টের যুগান্তকারী এই রায় যথাযথভাবে আমলে নিবেন মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যেই এতিমখানায় আব্বুর দাফন হবে সেটি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।
সূত্র : অনলাইন ডেস্ক আরটিভি
Leave a Reply