গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ঘিরে শীতের সকালে মুড়ি, পিঠাপুলি ও পায়েস খাওয়ার দৃশ্য যেনো বাংলার সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। খেজুরগাছ থেকে প্রতিদিন ৪-১০ লিটার পর্যন্ত রস সংগ্রহ করে গাছিরা সরাসরি বিক্রি করছেন কিংবা গুড় তৈরি করছেন। জেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে খেজুরের রস ও শীতকালীন পিঠার চাহিদা তুঙ্গে।
এক গ্লাস রস ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করছেন গাছিরা। প্রতিদিন গড়ে ১-২ হাজার টাকার রস বিক্রি করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বড়বাড়ী বাজারের রস বিক্রেতা তরেজামাল বলেন, “পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রস সংগ্রহ ও বিক্রি করি। শীতের শুরুতেই রস সংগ্রহ শুরু হয়। রস থেকে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করাও আমাদের উপার্জনের একটি বড় অংশ।”
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোঃ সাইফুল আরিফিন জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় খেজুরগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে খেজুরগাছের সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে। তিনি বলেন, “যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে এই গাছগুলো থেকে বাণিজ্যিকভাবে আরো বেশি আয় করা সম্ভব।”
ডা. মোঃ সাইদুল ইসলাম খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “কাঁচা রসের মাধ্যমে রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে। তাই রস ফুটিয়ে খাওয়া উচিত।”খেজুরের রসের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে খেজুরগাছ সংরক্ষণ ও নতুন করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান স্থানীয়রা।
সূত্র : অনলাইন ডেস্ক আরটিভি
Leave a Reply