এই চ্যানেল দিয়ে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরে মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে চীনের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ভয়ের কারণ বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। নিজের ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর প্রতি খুবই অন্যায্য আচরণ করা হচ্ছে। পানাম কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করা ফি হাস্যকর। আমাদের দেশের সঙ্গে এমন প্রতারণা খুব শিগগিরই বন্ধ হবে।’
১৯১৪ সালে পানাম খালের কাজ শেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৭ সালে মধ্য আমেরিকার দেশ পানামার কাছে এটি ফিরিয়ে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সময়ে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালে এই খালের পুরো নিয়ন্ত্রণ পায় পানামা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পোস্টে বলেন, ‘পানামাকে নিজেদের মতো করে এটিকে পরিচালনা করতে হবে, চীন নয়, বা অন্য কেউ তা করবে না। আমরা কখনোই এটিকে ভুল হাতে পড়তে দিতে পারি না এবং তা দেবোও না।’
পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি পানামা নিরাপদ, দক্ষ ও বিশ্বস্ত পরিচালনা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে আমরা দাবি জানাব পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে আমাদের হাতে তুলে দিতে, কোনোরকম প্রশ্ন ছাড়াই।’
তবে পানামা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী মাসের আগে প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন না, কিন্তু জো বাইডেন প্রশাসনের শেষ বেলাতে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে নমনীয় মনোভাবও প্রকাশ করছেন না।
পানামা খাল দিয়ে বিশ্বের মোট নৌ-বাণিজ্যের পাঁচ শতাংশের বেশি নৌযান চলাচল করে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ ঘুরে বিপজ্জনক ও দীর্ঘ নৌ-রুট এড়িয়ে এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে পূর্বতীর অভিমুখে চলাচলকারী জাহাজগুলো এই রুটটি ব্যবহার করে থাকে।
এই নৌ প্যাসেজটি বেশি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত অর্থবছরে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ এখান থেকে ৫০০ কোটি ডলারেরও বেশি রাজস্ব আয় করেছে।
Leave a Reply