হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ৪০ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে দ্বিগুণেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেকেই বেডের অভাবে মেঝে বা বারান্দায় অবস্থান করছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, শীতজনিত রোগের কারণে তাদের সন্তানদের শ্বাসকষ্ট, জ্বর, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় হাসপাতালে আনতে বাধ্য হয়েছেন।
ডা. তপন কুমার রায় জানিয়েছেন, ঠাণ্ডার সময় সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। তিনি পরামর্শ দেন, শিশুদের গরম কাপড় পরানো, গরম পানি পান করানো এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল মোকাদ্দেম বলেন, “আমরা প্রতিবছর শীতের সময়ে এমন চাপের মুখোমুখি হই। তবে আমাদের বিশেষজ্ঞরা যথাসাধ্য চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ধুলাবালিতে সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো খুবই জরুরি।”
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হলে রোগীর সেবা প্রদান আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
Leave a Reply