শিক্ষার্থীরা জানান,গত রোববার যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আওয়ামী লীগের ১৬৭জন নেতাকর্মী বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন মামলায় আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। এসময় তারা আদালতের সিঁড়িতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে স্লোগান দেয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সোমবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে এসে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা আদালত চত্বরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহবায়ক রাশেদ খান বলেন,আওয়ামী দোসরা আদালত চত্বর অস্থিতিশীল করতে গতকালকে স্লোগান দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিগত বছরগুলোতে গায়ের জোরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত নেই আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হয়েছে।
কিন্তু তাদের সেই স্বভাবটা এখনো থেকে গেছে। তারা আদালত চত্বরে দলীয় স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। তারা মনে করছে আগের মত তারা আদালতকে ব্যবহার করবে। কিন্তু তাদের সেই ভুল ধারণা ভাঙতে আমরা আজ আদালতে বিক্ষোভ করছি। আওয়ামী লীগ সরকার ও তার দোসরা বিগত সময়ে যে অপরাধ করেছে তার বিচার হবে। তাদের সকল অপচেষ্টার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে ছাত্ররা রাজপথে আছে এবং থাকবে।
এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর ছাত্রদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,গতকাল আওয়ামী ফ্যাসিস্টে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী ও আইনজীবীরা আদালত চত্বরে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে।
তারা বর্তমান সরকারকে পতন করার লক্ষ্যে যশোর থেকে আন্দোলন শুরুর চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের ছাত্র জনতা বসে নেই। আজ তারা প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেছে। আমরা আইনজীবীরা এদের সাথে ছিলাম, এদের সাথে থাকবো।
Leave a Reply