হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম গতবছর বদলি হয়ে যান। তার পরে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্টোর কিপারের দায়িত্ব পান ফার্মাসিষ্ট রতন কুমার সরকার। এরপর ফার্মাসিষ্ট রতন কুমার সরকার নিজের ইচ্ছা মত হাসপাতালে ওসুধ সরবরাহ এবং ক্রয় করতে থাকেন।
তার পরও হাসপাতালে ওষুধের সংকট দেখা দেয়। পরে প্রশাসন থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অর্ধ দিয়ে ওষুধ কেনার জন্য নিদেশ প্রদান করেন তত্ত্বাবধায়ক। পরে তিনি ওষুধ না ক্রয় করে হাসপাতালের হিসাব শাখা থেকে অর্থ তুলে নেন। বিষয়টি জানা জানি হলে হাসপাতালের আবাসিন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বজলুর রশিদ টুলু ক্রয়কৃত ওসুধ দেখতে যান স্টোরে।
কিন্তু তিনি ওষুধ দেখাতে পারেননি। তখন আবাসিক মেডিকেল অফিসার রতনকে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষে মাধ্যমে বদলির সুপারিশ করেন। পরে স্বাস্থ্য অধিদপতরে রতন কুমার সরকারের বদলির আদেশ আসে। কিন্তু যশোরের ছাড়তে চান না তিনি। তাই বিভিন্ন মহলে তদবির করেন। ইতিমধ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
কিন্ত পরে তিনি খুলনার আদেশে যশোর স্কুল হেলথ ক্লিনিকে শশাংক শেখর রায়ের স্থলে বদলির আদেশ নিয়ে আসেন। খুলনা স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার মনজুরুল মুরশিদ আদের্শে তিনি আগামী ৩০ডিসেম্বার থেকে স্কুল হেলথ ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানান,ওষুধ না কেনার ঘটনা সত্য। তবে অর্থের কোন সংকট আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়াপত্র দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply