নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্ধিতায় আনারস ও চশমা / ইভিএমে ভোট , প্রস্তুতি সম্পন্ন
রাত পোহালেই বুধবার যশোর সদরের আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। ফলে নিয়মানুয়ায়ী সোমবার রাত ১২ টার পর থেকেই প্রার্থীদের সব ধরণের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে। জেলা নির্বাচন অফিসও ইতিমধ্যে ইভিএমে ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এ উপনির্বাচন নিয়ে ভোট-বোদ্ধারা বলছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচারণায় নামার পর শাহারুল ইসলাম কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
নেতা-কর্মীদের অনেকের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের অনেকে গোপনে শহিদুজ্জামান শহিদের আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।
দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে দলের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, ইউনিয়নে ১৩ টি ভোট কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা থাকলেও বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত।
রির্টানিং কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী জানান, সিসি ক্যামেরার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারাধীন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহারুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নবাসী নৌকার পক্ষে। নির্বাচনে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি বলেন, বিগত দিনে সব কাজে ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকেছি। আমি বিশ^াস করি দলমত নির্বিশেষে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুজ্জামান শহিদ বলেছেন, ভোটাররা আমার আনারস মার্কার পক্ষে। সাধারণ সব ভোটার উৎসাহের সাথে ভোট দিতে চান। তিনি বলেন, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে আমার বিজয় হবে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩২ হাজার ৮৫৪ ভোটারের মধ্যে ১৬ হাজার ২৯০ পুরুষ ও ১৬ হাজার ৫৬৪ নারী ভোটার।
চলতি বছেরের ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মীর আরশাদ আলী রহমান দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন। এরপর ৫ মাসের মাথায় ১৩ জুন তিনি মারা গেলে আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।সূত্র দৈনিক স্পন্দন
Leave a Reply