মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় সরকার তথা সরকারি-বেসরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘রূপকল্প ২০২১’ নামে তথ্য প্রযুক্তি-নির্ভর এক নতুন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারাদেশের সকল ইউনিয়নে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন করেন ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র যা বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নামে সুপরিচিত।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সাফল্যের ধারাবাহিকতায়-
২০১৩ সালে দেশের সকল পৌরসভায় ‘পৌর ডিজিটাল সেন্টার’ ও সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে ‘নগর ডিজিটাল সেন্টার’, ২০১৮ সালে বিশেষ জনগোষ্টির চাহিদার আলোকে ‘স্পেশালইজড ডিজিটাল সেন্টার’ (SDC) এবং ২০১৮ সালে সৌদিআরবে ১৫টি
এক্সপাট্রিয়েট ডিজিটাল সেন্টার (EDC) স্থাপন করা হয়। এছাড়াও ফিলিপাইনের বাংসোমারো প্রদেশে আমাদের ডিজিটাল সেন্টারের আদলে ১০৫টি ওয়ান স্টপ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা, কম্বোডিয়া তেও ক্রস বর্ডারের মাধ্যমে এই মডেল রেপ্লিকেট করতে কাজ চলমান আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব আহমেদ ওয়াজেদ মহোদয়ের নির্দেশনায় ও সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে দেশব্যাপী ৮৮০৫টি ডিজিটাল সেন্টারের ১৬৫০০ এর অধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা ৩৬০ এর অধিক সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিককে সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছে। প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭০ লক্ষের অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। উদ্যোক্তাবৃন্দ এ পর্যন্ত ৮০ কোটির অধিক সেবা প্রদান করেছেন, নাগরিকদের ১.৬৮ বিলিয়ন সমপরিমাণ কর্মঘন্টা ও ৭৬৭.৭৫ বিলিয়ন টাকা ব্যয় সাশ্রয় করেছেন।
বর্তমানে- এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা তৃণমূল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ৩৬ হাজার কোটি টাকার অধিক আর্থিক লেনদেন, ৫৪০ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স উত্তোলন এবং একাউন্ট ওপেনিং হয়েছে- ৬,৩৭,৩৬৮টি;
সকল পরিষেবা বিল প্রদানের জন্য এক-পে (কেন্দ্রীয় ই-পেমেন্ট সিস্টেম বা পিটুজি) প্ল্যাটফরম করেছি। বর্তমানে ৬১টি সেবার পেমেন্ট দেয়া যাচ্ছে এবং মোট ইন্ট্রিগেটেড ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত আছে ৩৫টি।
সাথী- আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে নারী বৈষম্য নিরসনে সাথী নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠা করেছি। এর মাধ্যমে ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তারা ১৮ হাজার নারীর ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করেছে। সাথীর মাধ্যমে দেশব্যাপী ফাইন্যান্সিয়াল আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচি প্রতিবছর মাসব্যাপী পালিত হচ্ছে;
গ্রামের পণ্য শহরে এবং শহরের পণ্য গ্রামে পৌঁছে দিতে ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ‘একশপ’ করেছি। ইতিমধ্যে একশপ-এর ১১৩৭১টি সেবা পয়েন্ট স্থাপন এবং ৮.৯৫ লক্ষেরও অধিক নাগরিক সেবা গ্রহণ;
৩৩৩- কোভিড অতিমারী তে ১০০ জন উদ্যোক্তা কল টেকার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে সরকারের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগস্ট- অক্টোবর ২০২২ এই ৩মাসে ৫ লক্ষ্যের অধিক কল রিসিভ করে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে;
সকল পরিষেবা বিল প্রদানের জন্য এক-পে (কেন্দ্রীয় ই-পেমেন্ট সিস্টেম বা পিটুজি) প্ল্যাটফরম করেছি। বর্তমানে ৬১টি সেবার পেমেন্ট দেয়া যাচ্ছে এবং মোট ইন্ট্রিগেটেড ব্যাংক ও নোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত আছে ৩৫টি;
এছাড়া জমির পর্চার আবেদন, ভ্যাক্সিন নিবন্ধন, ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল প্রসেসিং, পাসপোর্টের আবেদন, হজ্জ্ব প্রাক নিবন্ধন, ই-চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফি প্রদান, পল্লী বিদ্যুৎ ফি প্রদান, বাস, রেল, লঞ্চ ও বিমানের টিকেটিং, ষ্ট্যাম্প ভেন্ডর লাইসেন্স আবেদন, জন্ম নিবন্ধন এবং অফলাইন সেবা প্রভৃতি;
উদ্যোক্তারা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এলাকার বেকার শিক্ষিত যুবকদের আইসিটি ও বিভিন্ন ট্রেড কোর্সের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকরি ভূমিকা রাখছে;
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি-নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইতিমধ্যে দেশের সকল উপজেলাকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হয়েছে এবং ৪১০০ ইউনিয়ন পরিষদে বিটিসিএল এর ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে;
সরকারের রাজস্ব আদায় ও ফি প্রদানের জন্য ই-চালান প্ল্যাটফর্ম করেছি। ১৮টি সেবা প্রদানের মাধ্যমে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা প্রায় ১,০৯,৭৪৪ জন;
সামাজিক নিরাপত্তা ভাতাপ্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা (২০৪১)
স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১-এ ডিজিটাল সেন্টার হবে স্মার্ট সার্ভিস হাব;
বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন;
ডিজিটাল সেন্টারের গড় দুরুত্ব ৫ কিলোমিটার থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে নিয়ে আসা;
বর্তমান সেবা সংখ্যা ৩৬০ কে ১৫০০ তে উন্নীত করা;
সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর-সংস্থার সেবাসমূহকে ডিজিটাল সেন্টার হতে প্রদানের ব্যবস্থা করা;
প্রবাসী সংখ্যাগরিস্ট প্রতিটি দেশে এক্সপেট্রিয়েট ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন ও অন্যান্য দেশে রেপ্লিকেট। সংগ্রহ
Leave a Reply