বৈশ্বিক মন্দায় মার্কিন ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দুই মাস ধরে এলসির সংখ্যা কমাতে থাকে। তবে এখন ডলার সংকট আরও বাড়ায় চলতি মাস থেকে কোনো এলসি নিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এতে আমদানিকারকরা দিশেহারা।
বেনাপোলের এক আমদানিকারক বলেন, ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে আমরা বেশ সমস্যায় পড়েছি।
বেনাপোলের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, চলতি মাসে ব্যাংকগুলো আমাদের কোনো এলসি খুলতে চাচ্ছে না। আমরা ব্যবসায়ীরা কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করব, তা নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত আছি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশেনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের আমদানিকারকরা যে এলসির অনুরোধ করেছিল, সেগুলো ব্যাংকগুলো বাতিল করে দিয়েছে।
এভাবে আমদানি বাধাগ্রস্ত হলে দেশের শিল্পকলকারখানা অচল হয়ে পড়বে বলে মনে করেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে কাঁচামালের প্রয়োজন হয়, সেগুলো সরবরাহ নিশ্চিত না করা হলে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অচল হওয়ার মতো অবস্থা হবে।
বর্তমানে এলসির ক্ষেত্রে ব্যাংকে ডলারের মূল্য নির্ধারণ ১০৫ টাকা ৩৫ পয়সা করা হয়েছে। যা দুই মাস আগেও ছিল ৯৬ টাকা।
Leave a Reply