1. admin@somajerchitro.com : admin :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
যশোর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক ভাটা শ্রমিক জখম যশোর আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ মাঠে মাহফিলের নামে বাড়ি ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন যশোরের চৌগাছা থানায় ৩২ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন, চাঁদা না পেয়ে তিন মামলায় চালান মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর আয়োজিত যৌন শিশু পাচার প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত যশোর শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ফার্মাসিষ্ট ওষুধের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে বদলি যশোরে আদালত চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ মধুখালীতে বাস থেকে পড়ে নারী যাত্রীর মৃত্যু গোবিন্দগঞ্জে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু চাঁদপুরে থেমে থাকা জাহাজে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত বেড়ে ৭ তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ধানমন্ডি যুবদলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
যশোর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক ভাটা শ্রমিক জখম যশোর আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ মাঠে মাহফিলের নামে বাড়ি ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন যশোরের চৌগাছা থানায় ৩২ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন, চাঁদা না পেয়ে তিন মামলায় চালান মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর আয়োজিত যৌন শিশু পাচার প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত যশোর শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ফার্মাসিষ্ট ওষুধের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে বদলি যশোরে আদালত চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ মধুখালীতে বাস থেকে পড়ে নারী যাত্রীর মৃত্যু গোবিন্দগঞ্জে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু চাঁদপুরে থেমে থাকা জাহাজে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত বেড়ে ৭ তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ধানমন্ডি যুবদলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

যশোরে বই কিনতে না পারা জাইমা এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫

  • মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে
যশোর শহরের মিশনপাড়া খ্রিষ্টান কবরস্থান এলাকার আবু জাফর ও সুরাইয়া ইয়াসমিনের বড় মেয়ে আবু জাইমা (১৭)। এ বছর যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংগ্রহন করেন তিনি। তার বাবা আবু জাফর পেশায় একজন ভাঙাড়ী ব্যবসায়ী এবং মা গৃহিনী। পারিবারের দারিদ্রতা জাইমার শিক্ষা জীবনে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। দারিদ্রতার শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে জাইমা।
সোমাবার (২৮ নভেম্বর)  এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদ সংগ্রহের জন্য যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে জাইমাসহ তার পরিবারের দেখা মেলে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অজস্রে কেঁদে চলছেন জাইমা এবল তার মা- বাবা। এ কান্না কোন দুঃখের নয়। জাইমার সর্বোচ্চ ভালো ফলাফলে আনন্দে অশ্রু ঝরছিল তাদের।
জানা গেছে, আবু জাফরের পরিবারে জাইমা ও দুই ছেলেসহ মোট পাঁচ জন সদস্য। আবু জাফর ভ্যানে করে যশোরেরে ঝিকরগাছা, চৌগাছা, শার্শা থেকে ভাঙাড়ী সংগ্রহ করে তা শহরে নিয়েসে বিক্রি করেন। আর এ পেশায় নির্ভর করে চলে জাইমা ও দুই ছেলের পড়াশোনাসহ পুরো সংসারের যাবতীয় খরচ।
জাইমার বাবা আবু জাফর বলেন, ‘আমি পা ভ্যান চালিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ভাঙাড়ী সংগ্রহ করে যশোরে এনে বিক্রি করি। এর থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে জাইমার পড়াশোনা চালিয়েছি এবং পুরো সংসারের যাবতীয় খরচ সামাল দিয়েছি। পড়াশোনার প্রতি জাইমার আগ্রহ থাকায় দরিদ্র হওয়া সত্বেও আমি পিছু পা হয়নি। ধার দেনা করে আমার মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগান দিয়েছি।’
আবু জাফর আরো বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের ফলাফলে অনেক খুশি। আমার মেয়ের স্বপ্ন সে ডাক্তার হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবে। কিন্তু আমার ডাক্তারী পড়ানোর সামার্থ নেই। দিন আনি দিন খাই। এখন মেয়েকে কলেজে ভর্তি করিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি।’
জাইমার মা সুরাইয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার মেয়েকে গাইড বা প্রয়োজনীয় বই কিনে দিতে পারিনি। জাইমা ওর সহপাঠীদের কাছ থেকে বই ধার করে, অনলাইন থেকে বইয়ের পেজ ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে পড়েছে। এমনকি পরীক্ষা আগে ফরম ফিলাপের এক হাজার ৪০০ টাকা চার-পাঁচজনের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে দিতে হয়েছে। আমাদের মেয়ের পড়াশোনা প্রতি আগ্রহ আমাদের পিছু পা করতে দেয়নি। তবে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ এবং পরবর্তী ধাপে পড়াশোনা চালিয়ে যাবার জন্য আমাদের সহোযোগিতা প্রয়োজন।
জাইমা বলেন, ‘আমি জিপিএ-৫ পেয়ে অনেক আনন্দিত। করোনার সময় আমাদের পরিবারের অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো, এর মধ্যে প্রয়োজনীয় বই কিনতে পারিনি  তবুও আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। আমার বাবা মা আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে আমি ডাক্তার হতে চাই। তবে আমার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় আমি আমার লক্ষ্যে পৌছাঁতে পারবো কিনা জানি না।’
জাইমাদের প্রতিবেশী কামাল হোসেন বলেন, ‘জাইমার পড়ালেখার প্রতি অনেক আগ্রহ। অসহায়ত্ব বা দরিদ্রতা কোন কিছুই তাকে হার মানাতে পারেনি। মেয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ম ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে তার বাবার পক্ষে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে মেধাবী মেয়েটি তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করি।’
এর আগে জাইমা জেএসসি ও পিএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। ভালো রেজাল্টের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়েছেন। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখছেন জাইমা।

ভাল লাগলে এই পোস্টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর

Categories

© somajerchitro.com 2022 All rights reserved
Theme Customized By BreakingNews